
ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতা:
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি কিশােরী মিম (১৩) হত্যার প্রধান আসামী মাে. আল আমিন (২৭) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪ সিপিস-১ জামালপুর । গ্রেপ্তারকৃত আল আমিন উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া গ্রামের শাহজাহানের ছেলে। নিহত কিশোরী একই ইউনিয়নের উত্তর বাকাকুড়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মোমিন এর মেয়ে।
র্যাবের প্রেস ব্রিফিং সুত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুলাই সকাল অনুমানিক ১১ঘটিকার সময় ঝিনাইগাতী উপজেলার পূর্ব বাকাকূড়া গ্রামের জৈনক আবু সাঈদ এর বাড়ির পূর্বপাশে পাঁকা রাস্তা সংলগ্ন পুকুরের পানিতে প্লাষ্টিকের বস্তাবন্ধি লাশ পাওয়া যায়। লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে ভিকটিমের আত্মীয় স্বজনরা মৃতের পরিহিত কাপড়-চােপড় ও লাশটি দেখে নিশ্চিত হয়। উল্লেখ্য গত ২২ জুলাই বিকাল অনুমান ৫ ঘটিকার সময় বাড়ি থেকে বাহিরে আসার পর নিখোঁজ হয় মিম।
এ ঘটনার পর র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের প্রতিনিধি উক্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন এবং অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা অব্যহত রাখেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সন্দেহজনক ব্যক্তিকে চিহ্নিত এবং অবস্থান নিশ্চিত করে ২৬ জুলাই মঙ্গলবার দিবাগত রাত অনুমান সাড়ে ৮.০০ ঘটিকায় র্যাব জামালপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল উপজেলার হাতীবান্দা ইউনিয়নের ঘাগড়া কামারপাড়ায় তার আত্মীয়র বাড়ী থেকে আল আমিনকে আটক করে।
র্যাব-১৪ এর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত আল আমিন জানায়, ভিকটিমকে ফুঁসলিয়ে বাকাকুড়া বাজারের পুর্বপাশে কালগুসা নদীর পাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার ভয়ে ভিকটিমের পরিহিত ওড়না গলায় পেঁচিয়ে নিজই এই নৃশংস হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে মর্মে স্বীকার করে এবং নৃশংস হত্যাকান্ডটি কিভাব ঘটিয়েছে আল আমিন তার বর্ণনা দেয়। আসামীর বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।