রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক কবিরুল ইসলাম জয় (২৯) কে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঠাকুরগাঁও জেলার ভুল্লী থানার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় জয়কে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত কবিরুল ইসলাম জয় ঠাকুরগাঁও জেলার ভুল্লী থানার কেশর বাড়ি এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জয় ঢাকায় চোখের চিকিৎসা শেষে হানিফ পরিবহনের বাসে করে ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনালে নামেন। এরপর অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে দুটি মোটরসাইকেলে করে আসা অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং মারধর করে তারা পালিয়ে যায়।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার রাকিবুল ইসলাম চয়ন জানান, জয় এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গুরুতর জখমের কারণে বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। তাকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
আহত কবিরুল ইসলাম জয় বলেন, ‘আমি ১৯ তারিখ চিকিৎসার জন্য ঢাকায় গিয়েছিলাম। আজ বাড়ি ফেরার পথে রাত ২টার দিকে একজন আমাকে ফোন করে জানতে চায় আমি কোথায় আছি। এরপর আমি জানাই, ঠাকুরগাঁও ফিরছি। সকাল ৫টার দিকে ভুল্লী এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা আমার ওপর হামলা চালায়। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্রসহ ধারালো অস্ত্র ছিল। দুটি মোটরসাইকেলে করে এসে তারা হামলা করে। আমি হামলাকারীদের চিনতে পারিনি, তবে তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা চালিয়েছিল। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘জয় জুলাইয়ের অভ্যর্থনায় আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে ছিলেন। তার শরীরে প্রায় ২৭টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। চোখে গুলি লাগায় তিনি ১৯ তারিখ ঢাকায় চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। আজ সকালে বাড়ি ফেরার পথে ভোর ৫টায় দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায় এবং তার সঙ্গে থাকা সব কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। আমরা পুলিশের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। কারা, কী উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা চালিয়েছে, তা আমরা জানতে চাই।’
ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’