
ভেড়ামারা প্রতিনিধি:
খুলনা থেকে ভেড়ামারা রেলস্টেশন হয়ে ঢাকাগামী সরাসরি চলাচলকারী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধের ঘোষণায় ফুঁসে উঠে তিন উপজেলার মানুষ।
ট্রেন বহাল রাখার দাবিতে শনিবার সকাল ১০ টায় ভেড়ামারা রেল স্টেশনে নাগরিক কমিটির ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিন উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজারো মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভেড়ামারা স্টেশন মাষ্টারকে জানিয়ে দেয় বহাল থাকছে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন। স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদীন এ সুখবর মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে দাবী পুরনের বিষয়টি অবহিত করা হয়।
এ সংবাদ পেয়ে উপস্থিত জনতা আনন্দে-উল্লাসে ফেটে পড়ে।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দরা তাদের বক্তবে দাবি জানিয়ে বলেন, এর আগে এই রুটে চলাচলরত বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন তুলে নেওয়া হয়েছে, তা আবারও এ রুটে পূর্ণবহাল করতে হবে।
ভেড়ামারা নাগরিক কমিটির আহবায়ক সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল, সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান মিঠু, কেন্দ্রীয় জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপন, কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির সভাপতি ডা. এসএম মুস্তানজিদ লোটাস প্রমুখ। এছাড়াও তিন উপজেলার এসএসসির বিভিন্ন ব্যাচের প্রতিনিধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সামাজিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণিপেশার হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ট্রেন বহাল রাখার বিষয়ে ভেড়ামারা রেলস্টেশনের মাস্টার জয়নাল আবেদীন বলেন, ঢাকা রুটে চলাচলরত চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন বহাল রাখার দাবীতে নাগরিক কমিটির মানববন্ধন চলাকালীনল সময়ে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে জানায় চিত্রা ট্রেন এই রুটে বহাল থাকবে। এ সিদ্ধান্তটি উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ রুটে প্রতিমাসে ৪০ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা রাজস্ব আসে। সুন্দরবন ও বেনাপোল এ দুটি ট্রেন বন্ধ হওয়ায় যাত্রীর চাপ বহুগুন বেড়ে গেছে বলে তিনি জানান