
আরিফুল ইসলামঃ
আজ ৩০ শে আগষ্ট ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সালথা সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা, দানবীর মরহুম চৌধুরী ইউনুস আলীর ১১ম মৃত্যু বার্ষিকী। ২০১২ সালের আজকের এই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
মরহুম চৌধুরী ইউনুস আলী সালথা সদর এলাকায় দানবীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সালথা বাজার, সালথা থানা, সালথা সরকারি কলেজ, সালথা মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অসংখ্য সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মরহুম চৌধুরী ইউনুস আলী জমি দান করে গেছেন। তিনি সালথা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সালথা বাজার বনিক সমিতি, সালথা বাজার জামে মসিজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবত সভাপতি ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯ শতেকের ৮০ দশকে তৎকালিন সময়ে অবিভক্ত নগরকান্দা বর্তমান সালথা উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মরহুম চৌধুরী ইউনুস আলীর হাত ধরেই অত্র এলাকায় আওয়ামীলীগের প্রচার প্রচারণা শুরু করেন। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মরহুম চৌধুরী ইউনুস আলীর সম্পর্কে খালা হন এবং সংসদ উপনেতার আস্থাভাজন ব্যাক্তি ছিলেন। বর্তমানে সালথা এলাকায় আওয়ামীলীগ খুবিই শক্তিশালী।
মরহুম চৌধুরী ইউনুস আলীর দুই ছেলে দুই মেয়ে, বড় ছেলে চৌধুরী সাব্বির আলী সালথা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণ রাজনীতিবীদ ও সমাজ সেবক হিসেবে বাবার দেখানো পথেই হাটছেন। ছোট ছেলে চৌধুরী ফজলে রাব্বি ঢাকায় এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর ব্যবসা করেন। বড় মেয়ে শারমিন চৌধুরী তরুণ মহিলা উদ্দোক্তা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সালথা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। ছোট মেয়ে মারাজানা চৌধুরী একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। স্ত্রী শিরিন মহল চৌধুরী সালথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তার ছোট ছেলে চৌধুরী ফজলে রাব্বি স্কুলের সভাপতি হিসেবে পরিারের সুনাম অর্জন করেছেন। পরিবারের সকল সদস্য মিষ্টভাষি ও পরোপকারী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম চৌধুরী ইউনুস আলীর ৯ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মরহুমের পরিবার ও চৌধুরী ইউনুস আলী স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। কোরআন থেকে তেলয়াত, জিকির আজগার, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, এতিম ও অসহায় শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা উদ্দোগ নেওয়া হয়।