
কুষ্টিয়া সংবাদদাতা:
কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী দৌলতপুরে ভারতের পাহাড়ী ঢল ও ফারাক্কার প্রভাবে গেট খুলে দেওয়ায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নেই পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চিলমারী, রামকৃষ্ণপুর, মরিচা, ফিলিপনগর, প্রাগপুর ইউনিয়ন সমুহের নদী এলাকার নিম্ন অঞ্চলে প্লাবিত হয়েছে। পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাসেল ভাইপারসহ বিভিন্ন বিষধর সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এ নদী এলাকার কয়েকজন এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
এদিকে নদী এলাকার দরিদ্রজন আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে নদী এলাকার পাঁচটি ইউনিয়নে মরিচাসহ কিছু ফসল তলিয়ে গেছে। উপজেলার চিলমারী, রামকৃষ্ণপুর, মরিচা ও ফিলিপনগর -এই চার ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বন্যায়, ইতিমধ্যে পানিতে তলিয়েছে চরের আবাদি ফসলের মাঠ।
উপজেলার চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, নদীর পানি বেড়েছে, তবে তা লোকালয়ে এখনো প্রবেশ করেনি। কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে। তা ছাড়া চরের আবাদি জমির ধান ও কিছু মরিচ ডুবে গেছে।
রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল বলেন, নদীতে নতুন পানি এসেছে, তবে এখনো কোনো ক্ষতি হয়নি এখানে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, বন্যার জন্য আমাদের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের উঁচু ভবনগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হবে। তবে নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিক রয়েছে। ভারতের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিলে বন্যা দেখা দিতে পারে।