
স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকার ধামরাইয়ে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় গুরুতর আহত প্রবাসীর স্ত্রী তানিয়া আক্তার দুই শিশু সন্তানসহ ধামরাই সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বুধবার সকালে ধামরাইয়ের গাওয়াইল কবরস্থান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তানিয়া আক্তার (৩২) গাওয়াইল কবরস্থান সংলগ্ন সোমভাগ এলাকার আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। আলমগীর হোসেন সৌদি প্রবাসী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তানিয়া বেগম বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত তার দেবর মৃত শেখ আফিল উদ্দিনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী মোসা. লতা আক্তার, ভাসুর আমিন (৩৫) গং-রা পরস্পর যোগসাজসে আমার স্বামীর বাড়িঘর দখল করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পাঁয়তারা করে আসছিল। গতকাল বুধবার সকালে ৯ ও ১১ বছরের ছেলে-মেয়ে নিয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থানকালে ৯টার দিকে জাহাঙ্গীর, লতা, আমিনসহ বেশ কিছু লোক এসে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। ঘর থেকে বের হতে অস্বীকার করলে তারা লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতারী মারপিট করে জখম করে ও শ্লীলতাহানি ঘটায়।
তিনি আরও বলেন, হামলাকালে জাহাঙ্গীর হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে এবং পরনের কাপড় ধরে টানা হেচড়া করে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। লতা আক্তার গলায় থাকা অনুমানিক এক লক্ষ টাকা মূল্যের ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। আমি গুরুতর আহত অবস্থায় উঠানে পড়ে থাকলে বিবাদীরা আমার বসত ঘরে প্রবেশ করিয়া স্ট্রীলের সুটকেসে থাকা বাড়ি নির্মাণ করার জন্য তিন লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং সন্তানসহ আমাকে বের করে দিয়ে ঘর তালা দিয়ে রাখে। ভবিষ্যতে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করিলে আমাকেসহ আমার শিশু সন্তানদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ তানিয়ার। এদিকে এ ঘটনার পর আশেপাশের লোকজনদের সহায়তায় ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন বলে জানান তিনি।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। এ সময় তারা তালা দেওয়া ঘরের চাবি উদ্ধার করে ঘরটি খুলে নেয়।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার তদন্ত কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।