
জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নূরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন (এমপি) বলছেন, সাবেক জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম ছিলো পরিশ্রমী ও দক্ষ সংগঠক। সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে তাদের। আমরা এ হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার চায়। যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেশিরভাগ আসামীদের আইনের আওতায় এনেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা লক্ষ্মীপুর টাউন হল মিলনায়তনে শোক সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এমপি নয়ন আরও বলেন, এ জেলায় যতগুলো সন্ত্রাসী বাহিনী ছিলো এবং আছে সবগুলো বিএনপির সৃষ্টি। তারা রাজনীতিকে পুঁজি করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বেশি করে। তাই তারা অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বিশ্বাসী। শামীম বাহিনী, জিসান বাহিনী, দিদার বাহিনী, সোলাইমান বাহিনী ও লাদেন বাহিনীসহ সকল সন্ত্রাসী বাহিনী বিএনপির অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে জড়িত।
আওয়ামী লীগ কখনো অস্ত্র ও সন্ত্রাসী রাজনীতিকে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় মানবিক ও উন্নয়নমূলক কাজে বিশ্বাসী। এদলে কোন সন্ত্রাসের স্থান নাই। যাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
যতদিন পর্যন্ত নোমান-রাকিব হত্যার রায় কার্যকর না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের নানা কর্মসূচি পালন হবে।
এ শোক সভায় আর উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাসান পলাশ, আওয়ামী লীগ নেতা সালাহ্ উদ্দিন টিপু, বদরুল আলম শাম্মী, যুবলীগ নেতা টিটু চৌধুরী, মাহবুবুল হক মাহবুব, মো.ইসমাইল হোসেন, সাইফ উদ্দিন আপলুসহ প্রখম।
উল্লেখ্য: ২৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকায় জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ আব্দুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমামকল গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা নোমানকে মৃত ঘোষনা করেন। ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান তিনিও। ২৬ এপ্রিল রাত ১ টার দিকে নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়। ইতিমধ্যে আবুল কাশেম জিহাদীকে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। হত্যাকান্ডের পর থেকে কাসেম জিহাদী আত্মগোপনে চলে যান।