শরীয়তপুরের সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুরুল আমিন কোতোয়ালের ওপর ঘোড়া প্রতিকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামরুজ্জামান আকন্দ উজ্জলের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনজন সাংবাদিক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুরুল আমিন কোতোয়াল সহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শৌলপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা খান ও ইউপি সদস্য দেলোয়ার আকন, ইউপি সদস্য মামুন আকন , দুলাল মোল্লা ও ইউসুফ মুন্সীর নেতৃত্বে এ হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
১৮ মে শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার শৌলপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে । এসময় ভিডিও চিত্র ধারণ করতে গিয়ে সাংবাদিক রোমান আকন্দ, জামাল মল্লিক ও আশিকুর রহমান হামলার শিকার হন। হামলায় মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়ছে এবং এপ্রচারপত্র (লিফলেট) ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এসময় হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করে।
এর আগে একই দিন বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন কোতোয়াল গাড়ি নিয়ে সদর থেকে চন্দ্রপুর বাজার দিয়ে প্রচারণায় যাওয়ার সময় ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা হামলার চেষ্টা করে। এসময় শরীয়তপুর সদর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়ালসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রার্থী নুরুল আমিন কোতোয়াল বলেন, চন্দ্রপুর বাজারে নির্বাচনি প্রচারণায় গেলে ঘোড়া প্রতিকের সমর্থকরা বাঁধার সৃষ্টি করে। এরপর আমরা শৌলপাড়া বাজারে পৌঁছালে ঘোড়া প্রতিকের সমর্থকরা স্লোগান দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় আমার সমর্থক দের ওপর। এতে আমার সমর্থক ও তিনজন সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি অবিলম্বে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার অবিলম্বে বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
হামলার শিকার সাংবাদিক জামাল মল্লিক, আশিকুর রহমান ও রোমান আকন্দ বলেন শৌলপাড়া বাজারে মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রচারণা সময় ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা হামলা চালায়। এসময় আমরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছি। আমরা হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি করছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম দেশেরপত্র কে বলেন, সন্ধ্যায় শৌলপাড়া বাজারে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রচার চলছিল। এসময় ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তখন তিন সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।