
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন নাতনিকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন আমেনা খাতুন। তিনি উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের সমশ্চুড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত সমর আলীর মেয়ে।
জানা যায়, আমেনা খাতুন শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু তার বড় মেয়ের মানসিক ভারসাম্যহীন নাতনি সুরাইয়া আক্তার (৬) বর্তমানে তার বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সুরাইয়ার পিতা সুজন মিয়া এবং মাতা হাসিনা ঢাকায় থাকেন। সুজন মিয়া শারীরিক সমস্যার কারণে নিয়মিত কাজ করতে পারেন না, ফলে তার পরিবার খুবই সংকটের মধ্যে দিনযাপন করছে।
এদিকে, মানসিক ভারসাম্যহীন সুরাইয়া সার্বক্ষণিক ছোটাছুটি করে এবং তাকে একা রেখে কাজেও যেতে পারে না আমেনা খাতুন। তাকে পায়ে দড়ি বেঁধে রাখতে হয়, তবুও সে ছুটাছুটি করে। এমন পরিস্থিতিতে, আমেনা খাতুন নাতনিকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন, এবং অর্থের অভাবে সুরাইয়ার চিকিৎসাও করাতে পারছেন না।
এ অবস্থায়, শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহবুবুর রহমান মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সুরাইয়ার চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা আমেনা খাতুনের হাতে তুলে দেন। পরে সিভিল সার্জন ডাঃ জসিম উদ্দিনের সহায়তায় সুরাইয়াকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
বর্তমানে সুরাইয়া শেরপুর সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তবে চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটাতে এখনও আর্থিক সংকট রয়ে গেছে। আমেনা খাতুন তার নাতনির চিকিৎসার জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সমাজিক সংগঠন ও বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তা প্রার্থনা করেছেন।যোগাযোগ: মোবাইল-০১৮২০-৫১৮৬৬০।