
পাকিস্তানে ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত ও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর–আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেনারেল আহমেদ শরীফ জানান, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতের পর ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফফরাবাদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। তিনি একে ‘কাপুরুষোচিত আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেন এবং জানান, পাকিস্তান এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া শুরু করেছে।
গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ৩৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর থেকেই পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটল।
রাত ১টার কিছু পরে পাকিস্তানের বেসরকারি টিভি চ্যানেল এআরওয়াই নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আইএসপিআরের মহাপরিচালক জানান, ভারতের যুদ্ধবিমান ভাওয়ালপুরের আহমেদপুর ইস্ট, কোটলি ও মুজাফফরাবাদের অন্তত তিনটি স্থানে হামলা চালায়। এসব হামলা ভারতের আকাশসীমা থেকেই চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “এই ঘৃণ্য উসকানির জবাব দেওয়া হবে, ভারত পার পাবে না।”
পরে জিও নিউজকে দেওয়া এক বক্তব্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল শরীফ জানান, আহমেদপুর ইস্ট এলাকায় একটি মসজিদে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, যেখানে একটি শিশু নিহত হয় এবং আরও ১২ জন আহত হন। একই সঙ্গে একটি ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে একজন দম্পতি ও তাদের সন্তান আটকে পড়ে। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
কোটলি এলাকায়ও একটি মসজিদে হামলায় দুইজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। মুজাফফরাবাদের একটি সড়কে ক্ষেপণাস্ত্র পড়লেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জেনারেল শরীফ আরও বলেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী স্থল ও আকাশপথে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে একটি সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তারা ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামের একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে। এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে আঘাত হানা হয়েছে। তবে ভারত দাবি করেছে, এই অভিযানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনো স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।