Date: May 11, 2024

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / রাজশাহী / পাঁচবিবিতে বলাৎকারের মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকি! - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

পাঁচবিবিতে বলাৎকারের মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকি!

April 05, 2024 05:23:41 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
পাঁচবিবিতে বলাৎকারের মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকি!

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রায়গ্রাম এলাকার একটি কওমী মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রের পরিবার। সেই মামলায় দীর্ঘ ছয় মাস অতিবাহিত হলে এখন মামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রের পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিচ্ছে এলাকার কতিপয় ব্যাক্তি। এ ঘটনায় মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকার মামলার বাদি ভুক্তভোগীর পরিবার।

মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া ব্যাক্তিরা হলেন, উপজেলার পানিয়াল গ্রামের সফিউল ইসলাম (৩৮), কুসুম্বা ইউনিয়নের নয়াপাড়া (গুচ্ছগ্রাম) এলাকার জাহাঙ্গীর (৪৫) ও খাড়িয়াপাড়া এলাকার জহুরুল ইসলাম।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) পাঁচবিবি থানার এএসআই সোহেল থানায় লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন, সফিউল ইসলামের বিরুদ্ধে পূর্বে চাঁদাবাজির মামলাও আছে। তারা বিভিন্ন সময় এলাকার মানুষদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ মামলায় বিবাদীদের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এখন মামলার বাদিনীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন। এ সক্রান্ত বিষয়ে মামলার বাদি তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।

মামলার বাদি ভুক্তভোগী ছাত্রের মা বলেন, পানিয়ালের সফিউল ইসলাম সহ উপরোক্ত ব্যাক্তিরা মাদ্রাসা শিক্ষককের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন মামলা তুলে নিতে আমাকে বিভিন্ন প্রকারের ভয়ভীতি ও হুমকি ধুমকি দিচ্ছেন। এছাড়া আমার দোকান ঘরে এসে আমাকে হেনেস্তা করেছে। হুমকি দেওয়ার বিষয়ে সফিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে না পেয়ে জহুরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিভিন্ন লোক বিভিন্ন কথা বলবে। আমরা কাউকে হুমকি দেইনি।

প্রসঙ্গত রায়গ্রাম এলাকার একটি কওমি মাদ্রাসায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার টুলট বড়গাঁও এলাকার আজাহার আলীর ছেলে মুক্তার হোসেন শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন। মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যা প্রায় অর্ধশতাধিক হলেও আবাসিকে থাকত ২০ জন ছাত্র। শিক্ষক মুক্তার হোসেন মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্রদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করতেন। ২০২৩ সালের (৯ অক্টোবর) রাতে ছাত্ররা ঘুমিয়ে পড়লে এক ছাত্রকে চাকুর ভয় দেখিয়ে বলাৎকার করেন এবং কাউকে বলতে নিষেধ করেন। ওই ঘটনায় পরের দিন সকালে বাড়ী গিয়ে মাদ্রাসা ছাত্র জানালে পরিবারের লোকজন তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তীতে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেন। সুস্থ হওয়ার পরে ছাত্রের মা বাদি হয়ে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন।