
রংপুর প্রতিনিধি:
দেশের সুনামধন্য বিদেশে চিকিৎসা সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ডক্টরস লিঙ্ক এর নাম ব্যবহার করে অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। প্রতারণা করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চিকিৎসা প্রত্যাশী মানুষদের নিকট মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ উক্ত প্রতিষ্ঠানের গোপনীয় ডাটাবেজ চুরির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
এঘটনায় অভিযুক্ত বেলাল হোসেন নিজের অপকর্মের দায় স্বীকার করে রংপুর কোতয়ালী থানায় মুচলেকা দিলেও পরবর্তীতে উল্টো প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানান বিভ্রান্ত মূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুর নগরীর ধাপ ইন্জিনিয়ার পাড়া এলাকায়।
প্রতারক বেলাল হোসেন রংপুর পীরগাছা উপজেলার চৌধুরাণী মকরমপুর এলাকার বাসিন্দা আতিকুর রহমানের ছেলে।
শনিবার (১২ আগষ্ট) বিকেলে প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার দায়ে থানায় মুচলেকা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর কোতয়ালী থানার এসআই সুলতান।
ডক্টরস লিঙ্ক এর সিইও আরিফুল ইসলাম সূত্রে জানাগেছে অভিযুক্ত বেলাল হোসেন দীর্ঘ ৪ বছর আগে রংপুরের শাখা ম্যানেজার হিসেবে ডক্টরস লিঙ্ক অফিসে কাজে যোগদান করেন। পরবর্তীতে রংপুর থেকে ঢাকা অফিসে যোগদান করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষদের সাথে তার সখ্যতা তৈরি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানির নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গোপনে কোম্পানির নাম ব্যবহার করে বিদেশগামী রোগী ও স্বজনদের নিকট মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় বেলাল। এবং সুযোগ বুঝে গত তিন মাস আগে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে গা-ঢাকা দেন বেলাল।
এঘটনায় বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতারনার স্বীকার রোগী ও স্বজনরা ডক্টরস লিঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এবিষয়ে ডক্টরস লিঙ্ক এর সিইও আরিফুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানান প্রতারক বেলাল হোসেন দীর্ঘ দিন থেকে প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙিয়ে রোগী ও স্বজনদের কাছে প্রতারনা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয় সে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের তথ্য উপাত্ত পাচার করেছে। তিনি আরো বলেন এঘটনায় আমরা গত ৯ আগষ্ট তাকে ধরে রংপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ প্রশাসনের নিকট সোপর্দ করি। পরে তার স্ত্রী সামছুন্নাহার সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা থানায় এসে তার অপকর্মের দায় স্বীকার করে প্রতারনা টাকা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুচলেকার মাধ্যমে ছাড়িয়ে নেয় প্রতারক বেলালকে।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার এসআই সুলতান প্রতারক বেলালের মুচলেকা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিষ্ঠানের নিজ কর্মীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে কতৃপক্ষ। বিষয়টি মীমাংসা হওয়ার কথা বলে থানা থেকে তাকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কি হয়েছে তা আমরা জানিনা।