Date: April 30, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / বরিশাল / ফসলি জমিতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মাণ, বাদীকে হুমকির অভিযোগ - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

ফসলি জমিতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মাণ, বাদীকে হুমকির অভিযোগ

April 22, 2025 12:32:31 PM   অনলাইন ডেস্ক
ফসলি জমিতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মাণ, বাদীকে হুমকির অভিযোগ

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পূর্ব গোলখালী গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ফসলি জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। রাতের আঁধারে চালানো এ নির্মাণকাজ থামাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন জমির মালিক সোবাহান মোল্লা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে একজনকে গ্রেফতার করা হলেও জামিনে মুক্তির পর ফের দখলচেষ্টা ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধেই।

স্থানীয় বাসিন্দা সোবাহান মোল্লা দাবি করেন, জমিটি তার পৈতৃক সম্পত্তি এবং দীর্ঘদিন ধরে তিনি ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু গত ১৮ জানুয়ারি ফারুক মৃধা ও তার সহযোগীরা রাতের আঁধারে ওই জমিতে প্রবেশ করে মাটি কেটে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে।

ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বাধা দিতে গেলে সোবাহান মোল্লাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। পরে তিনি গলাচিপা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন (জিডি নং ৯২৩/২৫)। অভিযুক্ত হিসেবে ফারুক মৃধা (৪০), নুর আলম মৃধা (৪৫) ও আবু মৃধা (৫০)-এর নাম উঠে আসে। স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা ব্যর্থ হলে ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হন। আদালত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু অভিযুক্তরা আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বারবার ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সোবাহান মোল্লা জানান, উচ্চ আদালত তার পক্ষে দুটি রায় দিয়েছেন, যেখানে স্পষ্টভাবে স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষরা আদেশ অমান্য করছে এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। নিরাপত্তার অভাবে গত তিন মাস ধরে তিনি নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেন না বলে জানান।

অন্যদিকে অভিযুক্ত ফারুক মৃধা দাবি করেন, “স্থানীয় সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ঘর নির্মাণ শুরু করেছি। আদালতের রায় যদি আমাদের বিপক্ষে যায়, তাহলে ঘর সরিয়ে নেব।”

গলাচিপা থানার এএসআই হুমায়ুন কবির জানান, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আমাদের চলে যাওয়ার পর আবার তারা কাজ শুরু করে।”

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশাদুর রহমান বলেন, “আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মাণের ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে এবং দ্রুত আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।”

এদিকে স্থানীয়দের মতে, এ ধরনের কার্যক্রম আদালতের আদেশের প্রতি চরম অবমাননা এবং প্রশাসনের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা।