
আগেই জানা গিয়েছিল, ‘মিশন এক্সট্রিম’ খ্যাত নির্মাতা সানী সানোয়ার পরিচালনা করবেন ‘শের খান’। এতদিন মৌখিক শোনা গেলেও লিখিত চুক্তি হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার রাতে শাকিব খান ও নির্মাতা সানীর মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। শাকিবের এসকে ফিল্মস ও কপ ক্রিয়েশনের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিতব্য ‘শের খান’ মুক্তি পাবে ২০২৩ সালের যে কোনো বড় উৎসবে। এই দুই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, ফেব্রুয়ারিতে ‘শের খান’র শুটিং শুরু হবে। টানা শুটিংয়ের মাধ্যমে শেষ হবে কাজ। চুক্তি শেষে পরিচালক সানী সানোয়ার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, পুলিশ অ্যাকশনের পাশাপাশি সাসপেন্স, থ্রিল, ড্রামা সবই থাকবে শের খানে। সেইসাথে ঢাকার বাইরে ঘটে যাওয়া অজানা ক্রাইম প্রেক্ষাপট উঠে আসবে। পুরো সিনেমাতে উন্নত কারিগরী ব্যবস্থা থাকবে। তিনি বলেন, শাকিব খানের হিউজ অডিয়ান্সের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল তাকে ভিন্নভাবে স্ক্রিনে তুলে আনার। আমার এনালাইসিস হচ্ছে, তাদের সেই ক্ষুধা মেটানোর জন্য উপযুক্ত সিনেমা হতে পারে ‘শের খান’।শাকিব খানের পাশাপাশি ‘শের খান’ ছবির অন্যান্য চরিত্রগুলোও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান সানী সানোয়ার। তবে শাকিব ছাড়া আপাতত অন্য শিল্পী এবং নায়িকার নাম বলতে চাইলেন না বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার সানী সানোয়ার। “কিছুটা চমক হিসেবেই থাকুক। খুব বেশিদিন নায়িকা বা অন্যান্য শিল্পীদের নাম জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।” ‘শের খান’ প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, সানী ভাই যখন গল্প শোনাচ্ছিলেন চোখের সামনে পিকচারাইজেশন করছিলাম। বিরাট বড় আয়োজনের সিনেমা এটি। যোগ করে ঢাকাই সিনেমার এই রাজকুমার বলেন, শের খানের গল্পে মানবতা, প্রশাসন, দেশপ্রেম, ক্রাইম-সাসপেন্স সবকিছুই আছে। তাছাড়া আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে দেখেছি, অনেকসময় অ্যাকশন বেইজ সিনেমায় গল্প দুর্বল হয়ে যায়। কিন্তু শের খানের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হচ্ছে গল্প। সবমিলিয়ে আশা করছি, শের খান সময় উপভোগ্য সিনেমা হতে যাচ্ছে।