
শরীয়তপুর (জাজিরা) প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের জাজিরায় পাঁচ শতাধিক আমগাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা রাজ্জাক মাদবরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জাজিরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ওই ব্যাবসায়ীর ছেলে সামিউল ইসলাম জীম। তার অভিযোগ, চাঁদা না দেয়ার কারণেই এমনটি করেছেন রাজ্জাক মাদবর ও তার অনুসারীরা।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে উপজেলার বিকে নগর ইউনিয়নের আনন্দ বাজার সংলগ্ন ব্যাবসায়ী মজিবুর বানিয়ার ১৪ বিঘা জমির উপর লাগানো আমগাছ ও সাথে থাকা ভিয়েতনামি ঘাস কেটে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি চাষ দেয় রাজ্জাক মাদবরপন্থী লোকজন।
তবে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্জাক মাদবর। তার দাবি জমিটা তাদের। এতোদিন জোর করে ভোগদখলে ছিলো ব্যাবসায়ী মজিবর বানিয়া। তার জমি পুনরায় দখল নিয়েছেন তিনি।
এদিকে বানিয়া পরিবারসহ স্থানীয়রা জানান, বিএনপির কিছু লোকজনের সাথে পরিচয় আছে রাজ্জাক মাদবরের। তাদের নাম ব্যাবহার করে এসব অপকর্ম করছেন তিনি। বিকে নগর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দাবি করলেও তিনি মূলত আওয়ামিলীগ নেতা ছিলেন।
জানা গেছে, পাঁচ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা থাকলেও পাঁচ আগস্ট সরকার পতনের পর কয়েকজন বিএনপি নেতার সহোযোগিতায় ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বনে যান তিনি। তবে রাজ্জাক মাদবরের এমন দাবির ভিত্তি নেই বলে জানান উপজেলা বিএনপির সভাপতি বজলুর রশিদ শিকদার।
বজলুর রশিদ শিকদার জানান, বিকে নগর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে মিজান মুন্সী ও রফিক মাঝিকে দিয়ে। রাজ্জাক মাদবর কমিটির কেউ না।
ভুক্তভোগী ও তার পরিবারে অভিযোগ, রাজ্জাক মাদবর তাদের একাধিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও জমিজমা দখল করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক কোটি টাকা চাঁদা না দেয়ায় এমনটি করেছেন রাজ্জাক মাদবর। এর আগেও কাঁচাবাজার দখলে নিয়ে চাঁদাবাজি করেন তিনি।
গাছ কাটার বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দুলাল আকন বলেন, আমি বিষয়টি এখনো শুনিনি। অভিযোগও হাতে পৌছায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নিবো।