
বরিশাল সদর সংবাদদাতা:
বরিশালে স্পিডবোট দুর্ঘটনার দুই দিন পর নদীতে ভাসমান অবস্থায় চালক ও এক যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মরদেহ দুটি দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া মরদেহ দুটি শনাক্ত করা হয়েছে- চালক আল আমিন (২৩) এবং যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ইমন (২৯)। চালক আল আমিন ভোলা সদরের ভেদুরিয়ার উত্তর চর এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে, এবং যাত্রী ইমন ভোলা সদরের ধনিয়া এলাকার মো. শাহাবুদ্দিনের ছেলে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট এলাকায় স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর নদী থেকে উদ্ধার করা জালিস মাহমুদ (৫০) নামের এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। এছাড়া, ভোলা সদরের দৌলতখান থানার কনস্টেবল মানসুর আহমেদ আহত হন।
প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার পর চারজন নিখোঁজ ছিলেন, যার মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, তবে এখনও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাদের স্বজনরা।