Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / বরিশাল / বরিশালে সবজির দাম কমলেও মাছ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

বরিশালে সবজির দাম কমলেও মাছ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

December 24, 2024 07:51:55 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
বরিশালে সবজির দাম কমলেও মাছ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

বরিশাল সদর প্রতিনিধি:
বরিশালে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বাড়ায় বাজারে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। এতে স্বস্তি ফিরছে ভোক্তাদের মাঝে। তবে হাতে-গোনা কয়েকটি সবজির দাম কমলেও মাছের বাজারে স্বস্তি নেই, বেশিরভাগ মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের চড়া দামেই।

মঙ্গলবার বরিশালের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সারাদেশেই শীত জেঁকে বসায় বাজারগুলোতে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বেড়েছে। দোকানিরাও সাজিয়ে বসেছেন শীতের সবজির পসরা, যার ফলে দাম কিছুটা কমেছে।

সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি শাক-সবজির দাম ৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে আগামীতে দাম আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাজারে সবজির বর্তমান দামের তালিকা অনুযায়ী, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, মুলা ২০-৩০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, কহি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা এবং পটোল ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা এবং শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়। এছাড়া নতুন আলু ৬০ টাকা, পুরাতন আলু ৬৫-৭০ টাকা এবং প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা এবং লাউ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে শাকের দামও কমেছে। লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০-১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০-১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা এবং পালংশাক ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা মরিচের দামেও স্বস্তি দেখা গেছে। খুচরা পর্যায়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা এবং পাইকারিতে ৫০-৬০ টাকায়।

তবে মাছের বাজারে আগের মতোই চড়া দাম বিরাজ করছে। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০-২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০-৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০-৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২৩০ টাকা এবং তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০-৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪৫০ টাকা, আইড় ৭৫০-৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১২০০-১৬০০ টাকা, শিং ১৪০০-১৫০০ টাকা, শোল ৯০০-১০০০ টাকা এবং নদীর পাঙাশ ৮০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। ক্রেতাদের অভিযোগ, নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে অভিযান চালালে এই ধরনের অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে এবং বাজার স্থিতিশীল থাকবে।