
নীলফামারী জেলার চিলাহাটিসহ বিভিন্ন এলাকার গ্রামবাংলার চিরচেনা বাবুই পাখি এখন বিলুপ্তির পথে। একসময় উঁচু তাল, নারিকেল ও খেজুর গাছে ঝুলতে দেখা যেতো বাবুই পাখির শৈল্পিক বাসা, কিন্তু বর্তমানে তা খুবই বিরল। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, কীটনাশকের ব্যবহার, শিকারিদের দৌরাত্ম্য, অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বাবুই পাখির এই বিপন্ন অবস্থার প্রধান কারণ।
বাবুই পাখি সাধারণত খড়, ঝাউ, তালপাতা ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে উঁচু তালগাছ ও খেজুর গাছে বাসা বাঁধে। তাদের বাসা তৈরির প্রক্রিয়া অত্যন্ত পরিশ্রমসাধ্য এবং শৈল্পিক। বাবুই পাখির এই বাসাগুলো প্রবল ঝড়েও অক্ষত থাকে, যা তাদের নির্মাণ দক্ষতার পরিচয় বহন করে। বাবুই পাখির বাসা শুধু একটি শৈল্পিক নিদর্শন নয়, এটি মানুষকে স্বাবলম্বী হওয়ার অনুপ্রেরণা দিতো।
কিন্তু এখন গ্রামবাংলার সেই চিরচেনা বাবুই পাখি আর তেমন দেখা যায় না। তাল ও সুপারি গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এবং পরিবেশের অবনতির কারণে তাদের জন্য বাসস্থান তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। মাত্র ১৫-১৬ বছর আগেও গ্রামবাংলার সবখানে এই পাখিগুলোর সরব উপস্থিতি ছিলো। কিন্তু এখন গ্রামবাংলার জনপদ আর বাবুই পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয় না।
এই অবস্থায় বাবুই পাখির সংখ্যা রক্ষা করতে পরিবেশ সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণের দিকে মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।