
খুলনা ব্যুরো:
ঝিনাইদহের মহেশপুরে বালুর বদলে ইটভাটার পোড়া মাটি দিয়ে সড়ক পাকা করণের কাজ চলছে এমনি অভিযোগ উঠেছে মের্সাস জিল্লুর রহমান এন্টারপ্রাইজ নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ওই কাছে নিম্নমানের খোয়া ও ৩ নম্বর ইট দিয়ে রাস্তার এজিং দেওয়া হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প এর আওতায় মহেশপুর উপজেলার নাটিমা বাজার-শ্রীরামপুর পর্যন্ত পুরাতন সড়ক পাকা করণ কাজ চলছে। সেখানে বালুর পরিবর্তে ই্টভাটার পোড়া মাটি (রাবিশ) ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারসহ নানা অনিয়মেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার মের্সাস জিল্লুর রহমান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই সড়কটি নির্মাণ করছে।
সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প এর আওতায় মহেশপুর উপজেলার নাটিমা বাজার-শ্রীরামপুর সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতাভুক্ত। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৯০ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয়ে ৮৭২মিঃ সড়ক উন্নয়ন কাজ পেয়েছে এলজিইডি’র তালিকাভুক্ত ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নাটিমা বাজার তেতুলতলা দিয়ে শ্রীরামপুর পর্যন্ত সড়কটির নির্মাণ কাজ চলছে।তবে সড়কটির নির্মাণ কাজ যেনতেনভাবে সম্পন্ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস জিল্লুর রহমান এন্টারপ্রাইজ। তারা রাস্তা থেকে পুরাতন ইটের সলিং তুলে সেগুলো ভেঙেই খোয়া হিসেবে ব্যবহার করছে। আর রাস্তা নির্মাণ কাজে বালু ব্যবহার না করে ইটভাটার পোড়া মাটি(রাবিশ)এনে ব্যবহার করছে। বালুর পরিবর্তে পোড়ামাটি ব্যবহারে পুরো রাস্তায় কাদা হয়ে যাচ্ছে। এভাবে বানানো রাস্তাটি টেকসই হবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।
তারা আরও বলেন, কাজ চলমান অবস্থায় সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের একজন কার্যসহকারী নিয়মিত দেখাশোনার দায়িত্বে থাকার কথা থাকলেও অভিযোগ দেওয়ার মতো কাউকে পাওয়াও যায় না।
নাটিমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মাষ্টার বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে যশোর চিকিৎসাধীন রয়েছি। এলাকাবাসী বিষয়টি আমাকে জানালে আমি ইঞ্জিনিয়ারকে জানাই, তিনি আমাকে বলেন জেলা স্যাররা এসে দেখে গেছে, রাস্তায় কোন অনিয়ম হচ্ছে না। কিছু সমস্যা ছিলো ঠিক করে নেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান বলেন, বালুর বদলে যদি পোড়া মাটি ব্যবহার হয়, তাহলে রাস্তাটি টেকসই হবে কিনা, আপনারাই ভালো জানেন?
দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী রোকনাজ্জামান বলেন, ইস্টিমেট অনুযায়ী ১০ ইঞ্চি বালুর ওপর খোঁয়া ও বালু মিশিয়ে বেড তৈরি করা হয়েছে, যা জেলা স্যাররা এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে গিয়েছে। এখানে কোন নিন্মমানের কাজ হচ্ছে না। আমিও ৫০ মিটার পর পর বেশ কয়েক জায়গায় খুড়ে দেখেছি, খোয়ার সাথে রাবিশ (পোড়ামাটি) বা মাটি পাইনি। ইস্টিমেট অনুযায়ী নিচে ১০ ইঞ্চি বালি পেয়েছি।
এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) সৈয়দ শাহরিয়ার আকাশের কাছে জানতে চেয়ে তার ব্যবহিত মোবাইল ফোনে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।