
জসিম উদ্দিন:
চট্টগ্রাম বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নে সোমবার ভোররাতে হাজিরখীল গ্রামে নতুন ঘরে ঢুকে তাকে খুন করা হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী মরতুজা বেগম (২৮) আহত হয়েছেন। নিহত হামিদ ২নং ওয়ার্ডের মাহফুজের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘কয়েকবছর আগে ক্রসফায়ারে মারা যাওয়া জাফর মেম্বারের মৃত্যুর জন্য নিহত ব্যক্তিকে দোষী করে আসছিল একটি পক্ষ। তাদের ধারণা ছিল সোর্স হিসেবে জাফর মেম্বারকে নিহত ব্যক্তি ধরিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি তাদের সাথে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। সম্প্রতি একটি নতুন ঘর করা নিয়ে বিরোধ বাড়ে। এই বিরোধের জের ধরেই তাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তার মাথার পেছনে একটি বড় জখম হয়েছে। মূলত এটির কারণেই অতিরিক্ত রক্তকরণে হামিদ মারা যায়। আমরা কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
স্থানীয়রা জানান, ২০১৯ সালের ক্রসফায়ারে নিহত মেম্বার জাফর আহমদ ও মো. খলিলের সাথে হামিদের পরিবারের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এই দুইজন আটক ও ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার ঘটনায় হামিদকেই দোষারোপ করে আসছিল তাদের পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। সম্প্রতি হামিদ একটি ঘর নির্মাণ করলে সেটির জায়গা নিয়ে বিরোধ বাড়ে। গত শুক্রবার নতুন ঘরে প্রবেশ করে হামিদ। নতুন ঘরে প্রবেশের তিনদিনের মাথায় খুন হলেন হামিদ।
হামিদের বোন জোহরা বেগম বলেন, আমার ভাই রাতে ঘুমিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা ঘরে প্রবেশ করে কিরিচ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়েছে। ডাকাত জাফর ও খলিলের ছেলেরাই আমার ভাইকে খুন করেছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা আমার ভাইকে মারার হুমকি দিয়ে আসছিল।