
নাটোর সংবাদদাতা:
নাটোরের বড়াইগ্রামে সুখের আশায় বিদেশে গিয়ে সইতে হয়েছে নির্যাতন, দেশে ফিরে হলেন আদম ব্যবসায়ীর মিথ্যা মামলার আসামী। আদম ব্যবসায়ী মসলেম উদ্দিনের আশ্বাসের ভিক্তিতে তা সহজ সরল মনে বিশ্বাস করে এক বুক আশা নিয়ে ৫ যুবক গিয়েছিলেন কম্বোডিয়া। কিন্তু সেখান থেকে দেশে ফিরতে হয়েছে নিঃস্ব হয়ে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার রাজ্জাক মোড় এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাদের কয়েকজন নিজেদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। তারা হলেন, উপজেলার বড়াইগ্রাম পৌর এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুলাহ ওমর, চক বড়াইগ্রাম এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে সুমন আলী, লক্ষীকোল মহল্লার আসলাম সরকারর ছেলে দুলাল সরকার, জলন্দা গ্রামের শাহজাহান সরদারের ছেলে নাজমুল সরদার, বড় পিঙ্গইন গ্রামের মৃত আতর আলীর ছেলে কামরুজ্জামন নাজমুল।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুলাহ ওমর আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ২১ তারিখে তিনশত টাকা ষ্ট্যাপের ১৪ লক্ষ টাকা নিয়ে লিখিত অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে কম্বোডিয়া নিয়ে যায় আদম ব্যবসায়ী মসলেম উদ্দিন। কিন্তু সেখানে আমরা যাওয়ার পর গিয়ে বুঝতে পারলাম প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ এবং ভিসা দেওয়া হয়নি। তার পরেও কিছু দিন সেখান আমাদের অবৈধভাবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। এক পর্যায়ে পরিবারের কাছে থেকে বিমানের টিকিটের অবৈধ ভাবে সেই দেশে থাকায় জরিমানা দিয়ে দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হই। শর্ত অনুযায়ী মসলেম উদ্দিনের নিকট টাকা ফেরৎ চাইলে বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
দুলাল উদ্দিন বলেন, আমি ও সুমন আলী বিদেশ থেকে ফেরৎ এসে টাকা চাইলে সমুন আলী ও তার পিতা এবং আমার, আমার পিতা ও স্ত্রীর নামে নাটোর কোর্টে মামলা করেছে মসলেম উদ্দিন।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত আদম ব্যবসায়ী মসলেম উদ্দিন বলেন, আমি তাদের বিদেশ নিয়ে যে কোম্পানিতে কাজ দেওয়ার কথা ছিল সেই কোম্পানিতেই কাজের ব্যাবস্থা করি অথচ তারা কোম্পানির কাছ থেকে নিজেরাই ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে এসেছে। আমার দায়িত্ব আমি সঠিক ভাবে পালন করেছি তারা যদি না থাকে আমার কি করা।
এই বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রহিম বলেন, আদম ব্যবসায়ী মসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।