
আব্দুল আলীম সাচ্চু, দৌলতপুর সংবাদদাতা:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
ছাত্রী অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের মেয়েরা ওই বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করার সুবাদে আমরা সেখানকার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটার। গত দুই মাস আগে ঢাক ঢোল পিছিয়ে এ্যাডোক কমিটির নাম প্রকাশ করে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক। যেখানে সভাপতি হিসেবে প্রধান শিক্ষকের চাচাতো ভাই রেজাউল হক সেন্টু মোল্লার নাম প্রকাশ হয়। এই কমিটির তিন মাস না গড়াতেই দুই মাসের মাথায় তড়িঘড়ি করে কাউকে কিছু না জানিয়ে এবং কোন প্রকার ভোট অনুষ্ঠিত না করেই মৌখিকভাবে বিদ্যালয়টির নিয়মিত কমিটিতেও প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন টাকার বিনিময়ে তার চাচাতো ভাই রেজাউল হক সেন্টু মোল্লার নাম প্রকাশ করে।
তারা আরও বলেন, বিদ্যালয়টির এই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নাম ঘোষণা করার আগে ছাত্রী অভিভাবক ও স্থানীয় গন্যমান্য কোন লোকজনকে জানানো হয় নি। এমন কি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন কবে কিভাবে দিয়েছে তাও কেউ বলতে পারে না। ম্যানেজিং কমিটি গঠন বা নির্বাচনের আগে অন্ততঃ এলাকায় মাইকিং করার নিয়ম প্রচলিত থাকলেও তাও করে নি বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন। এদিকে এমন পকেট কমিটির ঘোষণা করার ঘটনায় বোয়ালিয়া এলাকায় চলছে সমালোচনার ঝড়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের সাথে তার মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, নিয়মিত কমিটি সকল প্রকার নিয়মনীতি মেনেই করা হয়েছে এখানে কোন প্রকার দুর্নীতি করা হয় নি।
নিয়মিত কমিটি ঘোষণা করার আগে ছাত্রী অভিভাবক ও এলাকার লোকজনকে জানানো হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, স্থানীয় দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সব জানে।