Date: April 30, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সম্পাদকীয় / বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করুন - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করুন

January 30, 2023 06:02:06 PM   সম্পাদকীয়
বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করুন

স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা অধিক হারে বাড়ছে। এক সংবাদ সম্মেলনে আঁচল ফাউন্ডেশেনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০২২ সালে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতি মাসে গড়ে ৩৭ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৪৪৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে স্কুল ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৪০ জন। কলেজ ও সমমান পর্যায়ের আছে ১০৬জন। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে শুধু মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী রয়েছে ৫৪ জন। গত বছর আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বড় একটি অংশ (২৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ) এই পথ বেছে নিয়েছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মান-অভিমানের কারণে। এ ছাড়া প্রেমঘটিত কারণে ২৩ দশমিক ৩২ শতাংশ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ায় চারজন, গেমস খেলতে বাধা দেয়াতে সাতজন, শিক্ষকের কাছে অপমানিত হওয়ায় ছয়জন ও পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে ২৭ জন আত্মহত্যা করেছে। এছাড়াও আরও কিছু আত্মহত্যার কারণ রয়েছে যেমন, মুঠোফোন কিনে না দেয়া মোটর সাইকেল কিনে না দেয়ায় অনেকে অত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
করোনা মহামারিকালে ওই বছর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ১০১টি। সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে, যা ৬১ দশমিক ৩৯ শতাংশ বা ৬২ জন। মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার এ সংখ্যাটি ১২, যা মোট আত্মহননকারীর ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংখ্যাটি ৪, যা মোট আত্মহত্যাকারীর ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। অন্যদিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার ২২ দশমিক ৭৭ শতাংশ, যা সংখ্যায় ২৩ জন। মাদকাসক্ত হয়ে নির্বিকারে নিজের জীবন হননের পথ বেছে নিয়েছে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। আত্মহত্যার আগে শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড মানসিক কষ্টে থাকে। সে সময় কোনো শিক্ষকের কাছে কষ্টের কথা বলার সুযোগ পেলে আত্মহত্যার প্রবণতা কমবে। এ ক্ষেত্রে বলা যায় মানসিক অসুস্থতার সাথে সাথে সামাজিক কারণগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আত্মহত্যা সংঘটনের জন্য দায়ী। আবার তারা নিজেদের অন্যান্যের কাছে বোঝাও মনে করতে পারে। সুতরাং উভয় ক্ষেত্রেই কারও জন্য আত্মহত্যার ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। এখনই পদক্ষেপ নিতে না পারলে পরে আমাদের অনুশোচনা করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় দায়িত্বশীলদের অবদান রাখার সঠিক সময় এখনই।