
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের চরদামুকদিয়া গ্রামে নিজকক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। নিহতরা হলেন- চরদামুকদিয়া গ্রামের মো. ফরিদুল ইসলাম (৭৪) ও তার স্ত্রী রাবিয়া খাতুন (৫৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শহিদুল ইসলাম।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে ফরিদুল ইসলাম রাজশাহীর পুঠিয়া থেকে এসে ভেড়ামারার রাবিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় বসবাস করলেও ২০২৩ সাল থেকে চরদামুকদিয়া গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তারা ঘরের দরজা বন্ধ করেন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে রাবিয়ার ছোট ছেলে শরিফুল ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখে ফরিদুল ইসলাম ঘরের চালার বাঁশের সাথে ঝুলছে। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। রাবিয়া খাতুনের গলায় কাপড় পেঁচানো, মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও মুখে রক্তের দাগ ছিল।
ফরিদুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান আব্দুল আলীম সবুজ জানান, তার বাবা ২০১২ সালে দ্বিতীয় স্ত্রীকেও হত্যা করেছিলেন। এরপর পালিয়ে ভেড়ামারায় চলে আসেন। তিনি বাবার মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানান।
ওসি শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফরিদুল ইসলাম স্ত্রীকে আঘাত ও গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।”