
এনামুল হক:
মাদারীপুরের কালকিনির বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতরা হলেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. আক্তার হোসেন শিকদার, তার ছেলে মারুফ শিকদার এবং তাদের সমর্থক সিরাজ চৌকিদার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন এবং ইউপি সদস্য আক্তার শিকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে ২৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) শেষ রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলেই কুপিয়ে হত্যা করা হয় আক্তার শিকদারকে। সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মারুফ শিকদার ও সিরাজ চৌকিদারসহ ২০-৩০ জন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় মারুফ শিকদারকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। সিরাজ চৌকিদারকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের মতি শিকদারের ছেলে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আক্তার শিকদার, নিহত আক্তার শিকদারের ছেলে মারুফ শিকদার, একই এলাকার রশিদ চৌকিদারের ছেলে সিরাজ চৌকিদার।
সংঘর্ষে আহতদের মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সংঘর্ষের পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং র্যাব ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং ২০-৩০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং র্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।