
নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর মনোহরদীতে জমি দখলের চেষ্টায় সাংবাদিক পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া বাজারে আবুল কাশেম তার মায়ের কাছ থেকে হেবা দলিলের মাধ্যমে মালিকানা পেয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন। তবে তার এক ভাই ও ভাগিনারা সেই দোকান ও জমির দখল নিতে নানা কৌশলে পায়তারা করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ২০-২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আবুল কাশেমের উপর হামলা চালায়। তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তার স্ত্রী রত্না বেগম, মেয়ে সাবিনা ও ফারহানার উপরও হামলা চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা চাপাতি দিয়ে রত্না বেগমের মাথায় আঘাত করলে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে মনোহরদী থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে রত্না বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় সাংবাদিক আবুল কাশেম মনোহরদী থানায় হুমায়ুন কবির লাভলু, সায়েম, আজিজুল হক, মোক্তার, জসিম উদ্দিনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সাংবাদিক আবুল কাশেম অভিযোগ করে বলেন, “থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও পুলিশ অদৃশ্য কারণে মামলাটি রুজু করছে না।”
অপরদিকে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনোহরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান মুঠোফোনে জানান, “একই ঘটনায় আবুল কাশেম ও তার ভাই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। দুটি অভিযোগ একত্রিত করে একটি মামলা রুজু করার প্রক্রিয়া চলছে।”