Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ময়মনসিংহ / মালিকানা নিয়ে বিরোধ: আমন খেতে আগাছানাশক প্রয়োগের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

মালিকানা নিয়ে বিরোধ: আমন খেতে আগাছানাশক প্রয়োগের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

September 22, 2024 04:35:58 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
মালিকানা নিয়ে বিরোধ: আমন খেতে আগাছানাশক প্রয়োগের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি:
জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধে রাতের আধারে কে বা কারা বিরোধপূর্ণ এক একর ৬০ শতাংশ (১৬০ শতক) জমির উঠতি আমনের খেতে আগাছানাশক প্রয়োগ করেছে। এতে ওই খেতের ধানের চারা বিনষ্ট হয়েছে। তবে ওই আগাছানাশকের জন্য এক পক্ষ অপর পক্ষকে দোষারূপ করে নালিতাবাড়ী থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার বাগিচাপুর গ্রামের খালেদা খাতুন ও তার মা রাহিমা খাতুনের কাছ থেকে হেবা ঘোষণা দলিল মূলে খালেদার ছেলে ফরিজ উদ্দিন ও মেয়ে খালেদা খাতুন ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এক একর ৫২ শতাংশ জমি লিখে নেন।

এদিকে উল্লেখিত এক একর ৬০ শতাংশ জমিসহ মোট ২ একর ৫২ শতাংশ জমি নিজের বলে দাবী করে ২০২১ সালের ৬ জুন নালিতাবাড়ীর সিনিয়র সহকারী জজ শেরপুরে মোকদ্দমা করেন একই গ্রামের এমদাদুল হক। ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ওই মামলা খারিজ করে দেন আদালত। ফলে রায় চলে আসে ফরিজ উদ্দিনদের অনুকূলে। রায় অনুকূলে আসার পর ফরিজ উদ্দিন ও তার বোনের এক একর ৬০ শতাংশ অংশে চলতি আমন মৌসুমের আবাদ করেন। অন্যদিকে একই জমিতে আবাদের চেষ্টা করেন এমদাদুল গং। পাল্টাপাল্টি চাষাবাদ চলে একই জমিতে। এ নিয়ে উভয়পক্ষে মারামারির ঘটনাও ঘটে। মারামারির ঘটনায় উভয়পক্ষে মামলা দায়ের করা হলে মামলাটি বর্তমানে চলমান।

এদিকে বর্তমানে ফরিজ উদ্দিনদের দখলে থাকা ওই জমিতে গত ৩০ আগস্ট শুক্রবার রাতে কে বা কারা আগাছানাশক বিষ  প্রয়োগ করে। পরদিন শনিবার সকালে আমন খেতের ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেলে ফরিজ উদ্দিনদের নজরে আসে। এ ঘটনায় এমদাদুল গংকে অভিযুক্ত করে নালিতাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ফরিজ উদ্দিন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করে।

অন্যদিকে পরবর্তীতে ওই জমি নিজেদের রোপিত দাবী করে এমদাদুল তার খেতে আগাছানাশক দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে মর্মে ফরিজ উদ্দিনদের বিরুদ্ধে পাল্টা লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

এলাকাবাসী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ওই জমি এমদাদুলদের দখলে থাকলেও তার দায়ের করা মামলা চলতি বছর খারিজ হয়ে যায়। এরপর থেকে ফরিজ উদ্দিনরা ওই জমি দখলে নিয়ে আমন ধান রোপন করে। তারা আরও জানান, একই জমি এমদাদুলরাও রোপনের চেষ্টা করেছে। তবে খেতে আগাছানাশক কে দিয়েছে তারা কেউই বলতে পারেননি।

ফরিজ উদ্দিন দাবী করেন, এ জমি নিজ নামে ও বোনের নামে লিখে নেওয়ার আগ পর্যন্ত তার মা ও নানীর মালিকানায় ছিল। গত প্রায় চল্লিশ বছর যাবত ওই জমির খাজনা তারা পরিশোধ করে আসছেন।