
মেহেরপুরে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রোমানা আক্তার ছবি নামে নিহত শিক্ষানবিশ নারী আইনজীবীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জানাজা শেষে মেহেরপুর পৌর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহসড়কের গাঁড়াডোব নামক স্থানে 'মোটরসাইকেল চাপায় '’ নিহত হন তিনি। নিহত রোমানা আক্তার (৩৫) মেহেরপুর শহরের ক্যশবপাড়া এলাকার খোকন মোল্লার মেয়ে।
এদিকে নারী আইনজীবী নিহতের ঘটনায় তার এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে ধারণা করছেন। অভিযোগের তীর নিহতের বড় বোনের স্বামী মো. নুরুল ইসলামের দিকে। জানা যায়, নিহত আইনজীবীর বড় বোনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছিলেন তার স্বামী মো. নুরুল ইসলাম। তিনি চুয়াডাঙ্গা ডিসি কোর্টের পেশকার হিসেবে কর্মরত আছেন এবং কৌশলে নিহতের মাতার সম্পতি ভোগ করছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ১৮ ডিসেম্বর রোমানা আক্তার ছবি মোটরসাইকেলে মেহেরপুর থেকে গাংনীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। এ সময় গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব নামক স্থানে পৌঁছালে সামনের দিক থেকে আসা অপর মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আইনজীবী রোমানা রাস্তার ওপর ছিটকে পড়লে অপর একটি মোটরসাইকেল তাকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হন। আহতরা হলেন- গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা (২৮), একই গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে মাসুম রানা (৩৫), ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সিকারপুর গ্রামের ফটিক বিশ্বাসের ছেলে লুৎফর রহমান (২৫) ও ছাতিয়ান গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে রাজু আহমেদ জয় (২৩)।
আহত রোমানাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তারা। গাংনী থানা পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।