
শৈলকূপা সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের নিহত সুলতান হত্যার মূল নায়ক ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজান। ওই ঘটনায় মহেশপুর থানায় ইউপি সদস্য মিজানকে প্রধান আসামী করে ১৮ জনের নামে হত্যা মামলা হয়েছে।
মামলার এজাহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুলাই উপজেলার ফতেপুর ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিজান তার সমর্থকদের নিয়ে নিহত সুলতানকে রমজানের বাড়িতে আটকে রেখে গাছের সাথে বেঁধে ব্যাপক নির্যাতন করে। মিজান তার সমর্থকদের নিয়ে সালিশ বসায় ওই সালিশে রমজানের স্ত্রী হালিমাকে জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং সুলতানকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় তাদেরকে আরো মারপিট করে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সুলতানেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। নির্যাতনের মাত্রা বেশীয় হওয়ায় প্রায় একমাস পর ৩রা আগস্ট সকালে যশোর সদর হাসপাতালে সে ধুঁকে ধুঁকে মারা যায়।
এ বিষয়ে মহেশপুর থানায় মিজান মেম্বারকে প্রধান আসামী করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায় নেমে এসেছে। ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার নান্টু বলেন ঘটনাটি তার গ্রামের তবে এটি দুঃখজনক।
ওই গ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তদন্তপূর্বক হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইদুর রহমান জানান, আসামীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে। তবে আসামীরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।