
মাধবপুর সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ:
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা রেল স্টেশন ১৮৯৬ সালে ব্রিটিশ আমলের এই স্টেশনের উপর দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে যাতায়াত করে ছয়টি আন্ত:নগর ট্রেন শুধুমাত্র ঢাকা-সিলেট রুটের জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ছাড়া আর কোনো ট্রেন থামে না এই স্টেশনে।
এদিকে মনতলায় জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এর যাত্রাবিরতির সময় মাত্র দুই মিনিট এখান থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের আসন মাত্র ১০টি আর সিলেট অভিমুখে যাত্রীদের আসন বরাদ্দ মাত্র ২০টি। রাজধানী আর বিভাগীয় শহর সিলেট অভিমুখে মোট ৩০টি আসন বরাদ্দ থাকলেও প্রতিদিন যাতায়াত করে প্রায় অর্ধ শতাধিক যাত্রী এখানে সিলেট-ঢাকা অভিমুখে সুরমা মেইল নামে একটি লোকাল ট্রেন থামে।
এ কারণে এই স্টেশন থেকে প্রতি বছর টিকেট বিক্রি মালামাল বুকিং এবং স্টেশনের অভ্যান্তরে দোকান ভাড়া থেকে সরকারের আয় হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এসব দিক বিবেচনা করে এই স্টেশনে আরো দুটি আন্ত:নগর ট্রেনের যাত্রী বিরতীর দাবি স্থানীয়দের সরজমিনে ঘুরে জানা গেছে, এই স্টেশনে যাত্রী আছে কিন্তু ট্রেনের যাত্রাবিরতী নেই। রয়েছে লোকবলের সংকট সামান্য বৃষ্টি হলেই স্টেশনের ছাউনি থেকে পানি পড়ে সিগন্যাল ঘরটিও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে স্টাফ কোয়ার্টার দীর্ঘদিন যাবত পরিত্যাক্ত থাকলেও হয়নি সংস্কার বাধ্য হয়েই রেল কর্মচারীরা বাইরে ভাড়া বাসায় থাকেন।
স্টেশন সূত্রে জানা যায়, সহকারী স্টেশন মাস্টার পদে তিনজনের স্থলে আছেন মাত্র ১ জন পয়েন্টস ম্যান চারজনের স্থলে আছেন তিনজন পোটার দুইজন থাকার কথা থাকলেও একজনও নেই গেইটম্যান তিনজনের স্থলে আছেন দুইজন
স্থানীয়রা বলছেন, মনতলা স্টেশনের কাছেই একটি সরকারি কলেজ, রয়েছে স্কুল মাদরাসা সহ সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশপাশে ৪-৫টি হাটবাজার রয়েছে। এছাড়া রেলস্টেশনের পার্শবর্তী চৌমুহনী ইউনিয়নে একটি বেসরকারি কোম্পানির ফেক্টরি থাকায় এর কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তারাও মনতলা স্টেশনের মাধ্যমে ট্রেনে যাতা য়াত করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান।
চট্টগ্রামগামী জালালাবাদ ট্রেনটি বিগত কয়েক বছর যাবত বন্ধ থাকায় মনতলা বাজারের বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম থেকে মালামাল আনতে পারেন না। তাই ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে জালালবাদ ট্রেনটি পুনরায় চালু করার দাবি জানাচ্ছি স্টেশন মাস্টার আতাউর রহমান খাদেম জানান, মনতলা স্টেশনে দুইজন সহকারী স্টেশন মাস্টারের পদ শুন্য থাকায় আমাকেই ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে একজনের পক্ষে লম্বা সময় ধরে দায়িত্ব পালন করায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে স্টেশনের কার্যক্রম ভোর ৬টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।