
এইচ এম রাকিব:
ইলিশকে ঘিরে প্রায় ১০০ বছর আগে চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে গড়ে ওঠে ইলিশের বিশাল হাট। এটি এখন চাঁদপুর মাছঘাট হিসেবে পরিচিত। জাতীয় মাছ ইলিশ এই জেলার নদীগুলোতেই সবচেয়ে সুস্বাদু হয়। চাঁদপুরের ইলিশের স্বাদ ভোলা যায় না। জেলার ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য তাই বেছে নেওয়া হয়েছে ইলিশ মাছকে। জেলায় ঢুকলেও এর প্রমাণ মেলে। মৌসুমে এই ডাকাতিয়া নদীতে প্রচুর ইলশ ধরা পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতাদের কাছে নদীর ইলিশের চাহিদা বেশি।
দাম বেশির কারণে চাঁদপুরে বাসিন্দাদের কাছে এলাকার ইলিশই কিনে খাওয়া দুষ্কর। ক্রেতাদের অভিযোগ, একশ্রেণির অসাধু মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণেই ইলিশের এত দাম।
বেতাগী মৎস্য বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের আড়ৎদার কমল দাস বলেন, ১ কেজি ২০০ থেকে ১ কেজি ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের প্রতিকেজি ইলিশ সর্বনিম্ন ১ হাজার ৩৭৫ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, ১ কেজি আকারের ইলিশ প্রতিকেজি সর্বনিম্ন ১ হাজার ১২৫ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের ইলিশ সর্বনিম্ন ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা এবং ৫০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি সর্বনিম্ন ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ৮৭৫ টাকা কেজি পাইকারি বিক্রি করা হয়। এই দামে ইলিশ আড়তদার ও পাইকাররা কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চালান করে দেন। ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের বাসিন্দা রিকশাচালক আবুল খয়ের মাছের বাজারে ইলিশ কিনতে আসার সময় বলেন, এতো দাম দিয়ে মোগো ইলিশ কেনা সম্ভব না।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, পাইকার আড়তদারদের সিন্ডিকেটের কারণে ইলিশ ন্যায্যমূল্যে স্থানীয়রা কিনে খেতে পারেন না। বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কায় অনেক সময় স্থানীয় সল্প আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যায়।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান বলেন, ইলিশের মৌসুমে বাজার নিয়ন্ত্রনে জোরদার করা হচ্ছে। এছাড়া সিন্ডিকেটের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।