
আসন্ন রমজান মাসে ১ (এক) মাসের মোট কাজের গড় মজুরির ৬০% হারে উৎসব বোনাস প্রদান এবং দর্জি শ্রমিকদের জন্য সরকার ঘোষিত গেজেট ও শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে ময়মনসিংহ দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোখলেছুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বাবলী আকন্দ। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন, ময়মনসিংহ পাওয়ার মেইনটেন্যান্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন, ময়মনসিংহ জেলা মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপ মেকানিক্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রহমান টমন, ময়মনসিংহ দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ, দর্জি নেতা শাহআলম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে দর্জি শ্রমিকদের যে মজুরি প্রদান করা হচ্ছে, তাতে শহরে থাকার খরচ, ঘরভাড়া, খাবার, সন্তানের পড়াশোনা এবং পরিবারের অন্যান্য ব্যয় চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এর ফলে দর্জি শ্রমিকরা অভাব-অনটন ও কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছেন। সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরির গেজেট বাস্তবায়ন করা হয়নি, এবং ১ (এক) মাসের মূল মজুরির সমপরিমাণ উৎসব বোনাস নিয়ম অনুসারে প্রদান হলেও দর্জি শ্রমিকদের প্রাপ্য বোনাস প্রায়ই কম প্রদান করা হয়।
এছাড়া, রমজান মাসে দর্জি শ্রমিকদের উপর কাজের বাড়তি চাপ পড়ায় গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়, অথচ রাত্রিকালীন কাজের জন্য কোনো টিফিন ভাতা বা নাইট এলাউন্স প্রদান করা হয় না। শ্রম আইনের অধীনে শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদান বাধ্যতামূলক হলেও ময়মনসিংহ দর্জি সেক্টরে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।
নেতৃবৃন্দ তাদের ৫ দফা দাবি উত্থাপন করে মালিকপক্ষকে তা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান জানান। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১ মাসের গড় মজুরির ৬০% হারে উৎসব বোনাস প্রদান, রমজান মাসে টিফিন ভাতা হিসেবে জনপ্রতি ৮০ টাকা এবং নাইট এলাউন্স হিসেবে ১০০ টাকা প্রদান, দর্জি শ্রমিকদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং সুস্থ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা, বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ (অদ্যাবধি সংশোধিত) অনুযায়ী শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদান, সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন, এ সময় বক্তারা দ্রুত এই দাবি বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।