Date: April 30, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / রংপুর / রংপুরে উপ-পুলিশ কমিশনার শিবলী কায়সার প্রত্যাহার - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

রংপুরে উপ-পুলিশ কমিশনার শিবলী কায়সার প্রত্যাহার

March 16, 2025 09:15:03 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
রংপুরে উপ-পুলিশ কমিশনার শিবলী কায়সার প্রত্যাহার

রংপুর মহানগর পুলিশের (আরপিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শিবলী কায়সারকে প্রত্যাহার করে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরপিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান। শনিবার বিকেলে ডিআইজি প্রশাসন কাজী ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

জানা গেছে, শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, থানায় মামলা করতে আসা এক ব্যক্তিকে মারধর এবং কর্তব্যরত কনস্টেবলের রাইফেল কেড়ে নিয়ে গুলি করতে উদ্যত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি অভ্যন্তরীণ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং পুলিশের হেডকোয়ার্টার্সে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

আরও জানা গেছে, থানায় বাদী পলাশ হাসানকে মারধর, কনস্টেবলের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়া এবং পরিদর্শক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় থানাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগেও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে। রাঙ্গামাটিতে সার্কেল এসপি থাকাকালে সে সময়ের পুলিশ সুপারকে থাপ্পড় মারার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া, এক ডিআইজির সঙ্গেও অপেশাদার আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এর আগে, রংপুরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিল থেকে জাহাজ কোম্পানি মোড়ে হামলায় গুরুতর আহত জিয়া মঞ্চের নেতা লুসার আহমেদ ব্যবসায়ী অমিত বণিককে আসামি করে মামলা করলে শিবলী কায়সার নিজে থানায় উপস্থিত হয়ে তার নাম কেটে দেন। এ সময় এক বিএনপি নেতা আপত্তি করলে উল্টো তাকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন শিবলী কায়সার।

এদিকে, তার বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ ইতিবাচক প্রচার চালানোর চেষ্টা করলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অবশেষে শনিবার তাকে রংপুর থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সংযুক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে আরপিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাবিবুর রহমান জানান, থানায় বাদীকে মারধর ও গুলির চেষ্টার ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে এবং বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে জানানো হয়েছে। বর্তমানে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।