
রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুরে হেযবুত তওহীদের সাত সদস্য জামিন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টায় রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, মো. তছলিম উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, শেখ মো. রফিকুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ, সুজন মিয়া, শাহিনুর ইসলাম, নান্নু মিয়া।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের ছিদাম বাজার সংলগ্ন হেযবুত তওহীদের বিভাগীয় সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস শামীমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুজব ছড়িয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি নুরুল আলমের নেতৃত্বে তওহীদী জনতা হামলা চালায়। হামলায় আব্দুল কুদ্দুস শামীমসহ সংগঠনটির ছয়টি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় দুই পক্ষ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। হামলাকারীদের পক্ষে মামলা দায়ের করেন মিজানুর রহমান। সেই মামলায় ঘটনাস্থলে আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা হেযবুত তওহীদের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
সংগঠনটির বিভাগীয় সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস শামীম বলেন, “প্রকাশ্যে গুজব রটিয়ে আমারসহ আমার স্বজনদের ছয়টি বাড়িতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট চালানো হয়। লুটপাট শেষ দুর্বৃত্তকারীরা বাড়িগুলোকে জ্বালিয়ে ভষ্মিভুত করে দেয়। হতবাক করার বিষয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সামনেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। এতে আমিসহ অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হই। আমাদের মধ্যে সাতজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “হামলাকারীরা নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে থানায় পাল্টা মামলা দায়ের করেছে। সেই মিথ্যা মামলায় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাতজন সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়। বৃহস্পতিবার আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছে। আমরা চাই, আদালত দ্রুত এই মিথ্যা মামলা থেকে আমাদের মুক্তি দেয়াসহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগাছা উপজেলাধীন পারুল ইউনিয়নের সিদাম বাজার সংলগ্ন হেযবুত তওহীদের রংপুর বিভাগীয় সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস শামীমের বাড়িতে একটি প্রীতিভোজের প্রস্তুতি চলাকালে স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ড জামাতের সভাপতি নুর আলমের নেতৃত্বে গুজব রটিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে সংগঠনের ছয় সদস্যের বসতবাড়ি ভাংচুর লুটপাট করে ভষ্মিভুত করে দেয় তাণ্ডব কারীরা। এ ঘটনায় উক্ত ভোগী আব্দুল কুদ্দুস শামীম বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি সাধন দেখিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে হামলাকারীদের পক্ষে মিজানুর রহমান বাতিল হয়ে একটি মামলা করেন। বর্তমানে ভুক্তভোগী ওই ছয় পরিবারের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ উদ্বাস্ত রয়েছে।