
রেজাউল করিম:
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়াকান্দি এলাকায় টিআর-কাবিটা প্রকল্পে একটি রাস্তার মাটি ভরাটের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যাক্তির যোগসাজশে রাস্তা সংলগ্ন কিছু জমি থেকে গভীর করে এবং কারো জমি থেকে মাটি না কাটা নিয়ে অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী। এছাড়াও মাটি কাটতে গিয়ে অনৈতিকভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির গাছপালাও কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বালিয়াকান্দি গ্রামের মো. হানিফ নামে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, মহাজন বাড়ী থেকে শাহ আলমের দোকান পর্যন্ত ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন সুমনের তত্ত্বাধনে কাঁচা রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ চলছিল। কিন্তু স্থানীয় কিছু ব্যাক্তি এবং ভেকু চালকের যোগসাজশে তার জমি থেকে গভীর করে বেশি মাটি নিয়ে রাস্তার ভরাট করা হয়েছে। অথচ বিপরীত পাশে জমি থেকে মাটি কম কাটা হয়েছে। ফলে তার জমিটিও চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তার জমির ফল গাছসহ অন্যান্য গাছপালা কেটে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ তার।
নারগিস আক্তার নামে আরেক ভুক্তভোগী জানান, রাস্তায় মাটি ভরাট করার জন্য দুই পাশের জমির দৈঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা মেনে মাটি নেয়ার কথা থাকলেও পাশের জমি থেকে মাটি না নিয়ে তার জমিতে গভীর গর্ত করে মাটি নেয়। এতে তার জমিটিও চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তিনি এ ধরনের অনিয়মের বিচার চান।
স্থানীয় আরও অনেকে জানান, মূল রাস্তার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা মেনে মাটি ভরাট হয়নি। কোন কোন জায়গায় রাস্তার পাশ কেটে ওই মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাট করা হয়েছে।
রাস্তার কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা বীজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন সুমন জানান, “যে জমি থেকে বেশী মাটি কাটা হয়েছে, সে জমিটি এক লোক দেখিয়ে তিনি বলেছেন এটা তার জমি। তবে তার নাম বলতে পারেন নি এই ইউপি সদস্য।” মাটি ভরাটে বরাদ্ধকৃত রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রস্থ ও উচ্চতা পরিমাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি।
বীজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন কাজল বলেন, রাস্তাটি টিআর-কাবিটা প্রকল্পের বরাদ্ধকৃত। যা উপজেলা থেকে অর্ডার করা হয়েছে। এ কাজ স্থানীয় ইউপি সদস্য তদারকি করছেন। রাস্তায় মাটি ভরাট হয়েছে জেনেছি। তবে আমি এখনো যাইনি।
এ বিষয়ে জানতে সেনবাগ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এর মুঠোফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।