
তারেক রানা:
গাজীপুরের শ্রীপুরে আট বছর বয়সী এক শিশুকে বাড়ির পাশ থেকে তুলে নিয়ে নির্জন শালবনে ধর্ষণ করে মেয়েটির ওপর নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনকালে অভিযুক্ত ধর্ষক তার মোবাইল ফোনে তিন দফা ভিডিও ধারণ করে রাখে তার বিচারসহ দেশের নানা জায়গায় সাম্প্রতিকালে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে গাজীপুরের শ্রীপুরে জৈনা বাজারের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান একসাথে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। সোমবার (১০মার্চ) সকাল ১১টার দিকে জৈনা বাজার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ,রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও সাধারণ জনগণ এই কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় বক্তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা অনাকাঙ্খিত ভাবে দিন দিন বাড়ছে। যা সামাজিক ও জাতীয় ভাবে ঘৃনিত অপরাধ। কোন নারী – শিশুরা আজ কোনা জায়গায় নিরাপদ নয়। এধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাদের জনসম্মূখে ফাঁসি দেওয়া গেলে হয়তো কল্ঙ্কমুক্ত হবে দেশ ও জাতী। এসময় ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থী সাদিয়া, মালিহা, জান্নাত বলেন, সারাদেশে চলমান ধর্ষণের ঘটনা আমাদের জন্য ভয়ের। ধর্ষণের বিচারের দাবিতে আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে এটা আমাদের জন্য লজ্জার। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকার ধর্ষণের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেবে।
মানববন্ধনে বি জি এমই স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মাওলানা আবু নাসির বলেন, সারাদেশে ধর্ষণ যে হারে বেড়ে এখন শিশু পর্যায়ে চলে এসেছে এত করে কমলমতি শিক্ষার্থীরা হুমকির মুখে পড়েছে,আমরা চাই ধর্ষকদের চিহ্নিত করে ট্রাইবোনাল গঠন করে দ্রুত বিচারের জোর দাবি জানাই।
এইচ.এ.কে. একাডেমি অধ্যক্ষ শাহিন সুলতানা বলেন, আমরাদের প্রতিষ্ঠান সব সময় সকল ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। আমরা ধর্ষণ সহ সকল নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অতিসত্বর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এ মানববন্ধন অংশগ্রহণ করেন, এইচ এ কে একাডেমি, পাইওনিয়ার ইসলামিক স্কুল, বি জি এম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ ,আদর্শ একাডেমি, গাজীপুর শাহীন ক্যাডেট (জৈনাবাজার শাখা), আব্দুল মান্নান ইসলামিক একাডেমি সহ স্থানীয়রা।