
শরীয়তপুর অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) এর ২য় পর্যায়ের কাজ করছে স্কুলের শিক্ষার্থীদের দিয়ে। তালিকায় ২৭ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও কাজ করেছে ৫ জন শ্রমিক। এর মধ্যে ৩ জনই অপ্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৩ মে) সরেজমিনে সকাল সাড়ে ১১ টায় গিয়ে তুলাসর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে রাস্তা পুনঃনির্মাণের কাজ করতে দেখা যায় এসব স্কুল শিক্ষার্থীদের। প্রকল্পের সাইডে কাজের সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও তা কোথাও টানানো হয়নি। পিআইও অফিসের প্রকল্পের তালিকায় দেখা যায়, তুলাসার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড লতাবাগ নদীর পাড় হতে রহিম তালুকদারের বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা পুনঃনির্মাণের জন্য শ্রমিক ধরা রয়েছে ২৭ জন। তাঁরা ২৭ জন শ্রমিকের পরিবর্তে কাজ করাচ্ছে ৫ জন দিয়ে। তাও আবার ৩ জন স্কুলের শিক্ষার্থী। রাস্তার কাজতো নয়, এ-যেন শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকা হচ্ছে।
তবে প্রকল্পের কাছে গিয়ে দায়িত্বে থাকা কাউকে পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে স্কুলে পড়ুয়া এক শ্রমিক জানায়, রংয়ের বাজার স্কুলের ৭ম শ্রেণিতে পড়েন। স্কুল বন্ধ তাই কাজ করতে এসেছি। আমাদের কাজে নিয়েছে মহিলা মেম্বারের স্বামী আমির চান।
মোবাইলে এ বিষয়ে কাজের দায়িত্বে থাকা মহিলা মেম্বার জেয়াসমিন বেগমের স্বামী আমির চান জানান, শ্রমিক সংঙ্কটের কারনে শ্রমিক কম নিয়ে কাজ করছে। শিক্ষার্থীদের দিয়ে কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আর কোন কথা না বলে, চেয়ারম্যান জামাল ফকিরের সাথে কথা বলতে বলেন।
বিষয়টি তুলাসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল ফকিরকে জানালে তিনি বলেন, আমি কি বলেছি স্কুলের পোলাপান দিয়া কাজ করাইতে? কালকে আসেন, আমি ওদের বলে দিবনে।
এ ঘটনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মইনউদ্দিনকে জানালে তিনি বলেন, অব্যশই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন ছাড় দেয়া হবে না।