
শরীয়তপুরের জাজিরায় একটি বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ৭ মার্চ সকালে উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের পালেরচর হাট ফজলুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় কম্বলে মোড়ানো এক ব্যক্তিকে শুয়ে থাকতে দেখে স্থানীয় শিশুরা। প্রথমে তারা মনে করেছিল ব্যক্তি ঘুমিয়ে আছেন। তবে বিকেলে এসে একই অবস্থায় দেখতে পেয়ে তারা সন্দেহ করে। কাছে গিয়ে মরদেহের পাশে রক্তের দাগ দেখতে পেয়ে বিষয়টি স্থানীয়দের জানায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে জাজিরা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পাওয়া একটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ৯ মার্চ টাঙ্গাইলের কালিহাতি এলাকা থেকে হত্যাকারী রইস উদ্দিন (৫২) কে গ্রেফতার করা হয়। পরে ১০ মার্চ গ্রেফতারকৃত রইস উদ্দিনকে জাজিরা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রইস উদ্দিন কুড়িগ্রামের রৌমারি থানার সাইফ আলীর ছেলে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ জানান, গ্রেফতার রইস উদ্দিন ও নিহত দিপু উভয়েই দিনমজুর ছিলেন। তারা শরীয়তপুরের নড়িয়া এলাকায় কাজের সূত্রে পরিচিত হন এবং তাদের মধ্যে টাকা-পয়সা লেনদেন চলত। মূলত টাকা নিয়ে বিরোধের জেরেই ইট দিয়ে মাথা ও মুখমণ্ডলে আঘাত করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, যা রইস উদ্দিন স্বীকার করেছেন।
হত্যার পর মরদেহটি কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে রেখে পালিয়ে যান ঘাতক রইস উদ্দিন। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় টাঙ্গাইল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে জাজিরা থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
হত্যাকারীর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নিহত ব্যক্তির নাম দিপু বলে জানা গেছে। তবে তার বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।