
শরীয়তপুরের নাড়িয়া এলাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে তরুনীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকসহ চার বন্ধুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনা জড়িত থাকার অভিযোগে দু'জনকে আটক করেছে নড়িয়া থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, প্রেমিক জাহিদ হাওলাদার (২৫) ও তার বন্ধু শাওন আকন (২৫)। জাহিদ মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্বচর কয়রিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ছেলে এবং শাওন নড়িয়ার সেহের আলী মাদবর কান্দি গ্রামের রিপন আকনের ছেলে।
এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত আরও দুজন হলেন, পাঁচু খার কান্দি এলাকার দুলাল বেপারীর ছেলে সোহেল বেপারী (২২) ও মুলাপাড়া গ্রামের ইউনুছ শেখের ছেলে ইমন শেখ (২৪)।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭-ফেব্রুয়ারি মুলফৎ গঞ্জ মাজার এলাকা থেকে ভুক্তভোগী তরুনীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিক জাহিদ হাওলাদার তার বন্ধু ইমন শেখের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ইমন শেখ এর আম্মু ভুক্তভোগীকে বাড়িতে পৌছে দেয়ার জন্য তার ছেলেকে নির্দেশ দেয়। এসময় এমন শেখের বাবা ইনুছ শেখ বাড়ি এলে ভুক্তভোগীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ইমন শেখের বাড়ির পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেতে লুকিয়ে থাকে।
এসময় প্রেমিক জাহিদসহ তার সঙ্গে থাকা আরও তিন বন্ধু ভুক্তভোগীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে একটি ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে তালা মেরে রাখে। পরে ইমনদের বাড়ির ম্যানেজারের সহোযোগিতায় সেখান থেকে বের হয়ে বাড়িতে চলে আসে। ঘটনার পর ভুক্তভোগী নড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করে। পরে তা নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে দু'জনকে আটক করে নড়িয়া থানা পুলিশ।
এসব বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুহাঃ আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন বিয়ের প্রোলোভনে ৪ জন মিলে গণ ধর্ষনের অভিযোগ পেয়েছি আজ , অভিযোগ পাওয়া মাত্রই অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে । বাকিদের গ্রেফতার অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।