
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে টাকা নিতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করায় এক পোলিং অফিসারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সমর্থকের বিরুদ্ধে।
রবিবার (১৯ মে) রাতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিকে নগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে জাজিরার শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মারধরের শিকার পোলিং অফিসারের নাম মীর আবু সাইদ। অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকের নাম সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান। যিনি মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির সমর্থক বলে দাবি করা হচ্ছে।
মারধরের শিকার পোলিং অফিসার ও শিক্ষক মীর আবু সাইদ বলেন, ২১ তারিখের উপজেলা নির্বাচনে পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে আমি বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। এ সময় ব্যক্তিগত কাজে বাজারে গেলে একজন লোক আমাকে ডেকে সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানসহ অন্যান্যদের কাছে নিয়ে যায়। তারা আমাকে টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে কাজ করার জন্য প্রস্তাব দিলে আমি অস্বীকৃতি জানাই। এরপর তারা আমাকে মারধর করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তিত হয়ে পড়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমি আমার সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট অভিযোগ দেব।
তবে অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সরদার। মীর আবু সাইদের সাথে তার এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তিনি।
বিষয়টি জানার জন্য মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির মোবাইল নাম্বারে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ। একজন শিক্ষকের উপর হামলার দ্রুত বিচার দাবি করে সংগঠনটি।
জাজিরা উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।