
শরীয়পুর সংবাদদাতা:
“সচেতনতা- স্বীকৃত-মূল্যায়ন:শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা” প্রতিপাদ্য নিয়ে শরীয়তপুরে পালিত হলো ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালী বের করা হয়। পরে র্যালীটি শহর প্রদক্ষিণ শেষ করে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এসে আলোচনা সভায় যোগদেন। দিবসটি জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়।
জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক বিশ্বজিৎ বৈদ্য এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুল আলম পিপিএম, সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ পরান, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে,শরীয়তপুর পৌরসভা মেয়র এ্যাড. পারভেজ রহমান।
প্রধান অতিথির অনুপস্থিতে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), সার্বিক সাইফুদ্দিন গিয়াস, প্রধান অতিথির বক্তব্যে অটিজম শিশু জন্ম নেয়ার সম্পর্কে বলেন, আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি,অল্প বয়সে বাল্য বিবাহের বিষয়টি থাকে। স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য যদি বেশী হয়। বেশি বয়সে বিবাহ এবং বেশী বয়সে সন্তান নেয়া। এবং গর্ভাবস্থায় যদি মা সচেতন না থাকেন, অনেক সময় পরে জান। এসব বিষয়ে মায়েদের সচেতন থাকতে হবে। আমরা অল্প বয়সে বিবাহ দিব না। আবার ৩৫/৪০ বছরে যে বিবাহ হয়, সেটি থেকেও আমাদের দূরে থাকতে হবে। স্বামী স্ত্রীর বয়সটা ৫ থেকে ৭ বছরের ভেতর থাকলে ভালো হয়। এই বিষয়ে যদি আমরা সচেতন থাকি, তাহলে অটিজম বাচ্চা জন্ম নেয়া থেকে অনেকটাই ধরে রাখা সম্ভব।
প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, আমাদের শরীয়তপুরে জেলাতে প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধীর সংখ্যা আপডেট হচ্ছে। বর্তমান আমাদের এই জেলাতে ১৮ হাজার ৯শ' ৩৭ জন আজকে পর্যন্ত আমাদের জরিপকৃত আছে। তারমধ্যে আমাদের এইটটি-নাইন পয়েন্ট সিক্স পারসেন্ট আমাদের থেকে সরাসরি ভাতা পাচ্ছেন। অর্থাৎ শতভাগ প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে। যারা প্রতিবন্ধী জরিপ ভুক্ত হবে তারা সকলেই ভাতা পাবে। সরকারি সেবা থেকে কেউ কিন্তু বঞ্চিত নয়। এর বাইরেও প্রতিবন্ধীরা যাতে সমাজে ও পরিবারের বোঝা না হয়। তাদের জন্য সুদ মুক্ত ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। শরীয়তপুর জেলা অটিস্টিক প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৭৭২ জন।
তিনি বলেন, চার ধরনের প্রতিবন্ধীদের ভেতর অটিজমের সংখ্যাটাই একটু বেশী। এগুলো নিয়ে সমাজে অজ্ঞতা ছিল। এর জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অটিজম-বিশেষজ্ঞ, সাইকোলজিস্ট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক অ্যাডভাইসরি প্যানেলের বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশের অটিজম-বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি ড. সায়মা ওয়াজেদ। তাঁর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে অটিজম একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। তিনি এসময় জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অটিজম সহ বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর হায়দার শাওন, সিভিল সার্জন আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ্ পরান,জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র এ্যাড.পারভেজ রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আঃ রাজ্জাক প্রমুখ।