
শরিয়তপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উপর হামলার ঘটনায় জরুরি সেবা ব্যতীত সব ধরনের সেবা বন্ধ রেখেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্তের ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিচারের সম্মুখীন না করা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, শনিবার সকালে শারমিন নামে এক রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হন। ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। রোগীর স্বজনরা লাঠি-সোটা নিয়ে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উপর হামলা চালায়। এতে এক চিকিৎসকসহ অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
এ ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি সভা করে হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সেনা সদস্যরাও।
পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেসবাহউল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনায় অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।