
শরিয়তপুরে ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ০৯টায় জেলার নড়িয়া উপজেলার নয়ন মাদবর কান্দি গ্রামে মজিবুর মাদবর (৬৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্বার করেছে নড়িয়া থানা পুলিশ। তবে নিহতের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মজিবুর মাদবর উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের নয়ন মাদবর কান্দি গ্রামের মৃত সামেদ আলী মাদবর এর ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের জানা যায়, শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে মজিবুর মাদবর কে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেলে তার স্ত্রী চিৎকার করতে থাকে চিৎকারে আশেপাশের লোকজন বের হয়ে মজিবুর মাদবর কে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে নড়িয়া থানা পুলিশকে জানালে নড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
নিহতের স্ত্রী জানান, কাজের সুবিধার্থে তার ছেলেরা বাড়ির বাইরে থাকেন। বাড়িতে কেবল মজিবুর মাদবর ও তার স্ত্রী এই দুজনই থাকতেন। তাদের বাড়িতে টিউবওয়েল না থাকায় খাওয়ার পানি আনার জন্য তিনি পাশের বাড়িতে যান এবং সেখান থেকে আসতে তার কিছু সময় দেরি হয়। তিনি বাড়িতে এসে তার স্বামীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করলে দেখতে পান মজিবুর মাদবর বাড়ির পাশের একটি আম গাছের সাথে ঝুলছে। নি বলেন আমার স্বামী বৃদ্ধ অসুস্থ একজন মানুষ। তার আম গাছে ওঠার মতো শক্তি নেই। তাহলে আমার স্বামী কিভাবে আত্মহত্যা করতে পারে।
নিহত মজিবুর মাদবরের বড় মেয়ে পপি আক্তার (৩৫) জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের পাশের বাড়ির সুমন মাদবর (৩৫) এর সাথে তাদের দন্দ চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। ১০ মে সকালে মজিবুর মাদবর (৬৫) কে বাসায় রেখে তার স্ত্রী খাবার পানি আনার জন্য আরেক বাড়ি তে যায়। পানি নিয়ে এসে মজিবুর মাদবরকে ঘড়ে দেখতে না পেয়ে খোজাখুজি করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পরেই দেখতে পান ঘড়ের পাশের একটি আম গাছের সাথে ঝুলছে মজিবুর মাদবরের লাস।
এ ব্যপারে জানার জন্য সুমন মাদবর (৩৫) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) জনাব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে লাস উদ্বার করে পোষ্টমর্টেমের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি, তবে এ ব্যপারে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আঈনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।