
ঝিনাইদহ অফিস:
কম খরচে, কম পরিশ্রমে ফসল ঘরে তোলা যায় বলে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ভুট্টা চাষে কৃষকদের সহায়তা অব্যাহত থাকায় আগের চেয়ে উৎপাদনও বেড়েছে। এ বছর উপজেলার পৌরসভা সহ ১৪টি ইউনিয়নে ভুট্টা চাষ হয়েছে ৫শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে। যা গতবছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
গড় ফলন প্রতি হেক্টর জমিতে ১১টন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবছর সরকারি প্রনোদনা হিসেবে ২শ কৃষককে ভুট্টা বীজ, সার দেওয়া হয়েছে। এবার ডন ১১১, ডন ১১২, এনএইচ ৭৭২০, বিআর ৯২১৭, তাসলিম এইচ ৫৫, বিকেছি ৫১৬৫, বিকেছি ৮২২৫, পেট্ট্রোকেম ৩৩৫০ জাতের ভুট্টা বেশি চাষ করা হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, কম খরচে অধিক ফলন, অন্য ফসলের চেয়ে পরিচর্যা খরচ ও রোগবালাই কম হওয়ায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
হুদা কুশবাড়িয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে পাঁচ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ৪০ থেকে ৫০ মন ভুট্টা উৎপাদন হবে বলে ধারণা করছি। সরকারিভাবে কিছু ভুট্টার বীজ পেয়েছিলাম। বাকি বীজ বাজার থেকে কিনেছিলাম। আগামীবছর বছর আরও বেশী জমিতে চাষ করার ইচ্ছে আছে।
মালিথীয়া গ্রামের মুনতাসিরুল বলেন, ১ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা।
খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় এখন অনেকেই এই ভুট্টা চাষের দিকে ঝুকছে। প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদন ভাল হলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার ভুট্টা বিক্রি করতে পারবো।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান খান বলেন, কম পরিচর্যায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষকও লাভবান হয়ে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ উপজেলায় এবার দ্বিগুন পরিমাণ ভুট্টা চাষ হয়েছে। কৃষি অফিস সাধ্যমত চেষ্টা করে ভুট্টা চাষিদের নানারকম পরামর্শ দিচ্ছে। এ বছর সরকারি প্রণোদনা হিসেবে ২শ’ কৃষককে ভুট্টা বীজ, সার দেওয়া হয়েছে।