
শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত আনারস প্রতীকের প্রার্থী প্রবীণ রাজনীতিবিদ এডভোকেট চন্দন কুমার পালের পরাজয় হয়েছে।
অপরদিকে তুলনামূলক তরুণ রাজনীতিবিদ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর রুমান মোটর সাইকেল প্রতিকে প্রায় তিনগুণ বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগের নির্বাচনেও এডভোকেট চন্দন কুমার পাল সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমানের কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তারের স্বাক্ষরিত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী এডভোকেট চন্দন কুমার পাল আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন মাত্র ১৮৭ টি, তার বিপরীতে হুমায়ুন কবীর রুমান মোটর সাইকেল প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ৫৪৯ ভোট এবং ৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন মোহাম্মদ জাকারিয়া।
সকাল থেকে নির্বাচনের কেন্দ্র গুলো পরিদর্শন করে দেখা যায়, ৯ টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা নির্বাচনে লক্ষনীয় ভোটার উপস্থিতি। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকেও নেয়া হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল বেলা কেন্দ্র গুলোতে খুব বেশী ভোটার উপস্থিতি লক্ষ করা না গেলেও বেলা বাড়ার সাথেই বেড়েছে ভোটার উপস্থিতি। কোন ধরনের অপ্রিতিকর পরিস্থিতি ছাড়াই শেষ হয় ভোট গ্রহণ। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে দেখা যায়। বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে ৫ টি উপজেলায় তৈরিকৃত ১০ টি ভোট কক্ষে ছিলো সিসি ক্যামেরা মনিটরিং।
এবার জেলায় ৫২টি ইউনিয়ন, ৫টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভার মোট ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই ভোটারের বিপরীতে চেয়ারম্যান পদসহ জেলার ৫ উপজেলার ৫টি সাধারণ সদস্য পদ এবং ২ টি সংরক্ষিত সদস্য পদের মধ্যে ১ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ায় বাকী একটি আসনে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। অপর দিকে ৫ সাধারণ সদস্যে পদে লড়েছেন ১৯ জন প্রার্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভোটার বলেছেন, অনেক মেম্বার ও চেয়ারম্যান ভোটার আওয়ামী লীগের বাইরের রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা কেউ আনারস প্রতীকে ভোট না দেয়ায় ভোটের চিত্র এমন হয়েছে। কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ খান নুন বলেন, আমরা শেরপুর জেলা পরিষদের জন্য যোগ্য নেতাকেই বেছে নিয়েছি। রুমান শুধু চেয়ারম্যান নয় সে প্রকৃত যে জেলার ৪শতের অধিক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যকে নাম ধরে চিনে এবং তাদের পরিবারের খবর রাখে।