
মাগুরার মহম্মদপুরে দশ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নুরুল হুদা খান (৫০) নামের এক স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষকের নামে মামলা হয়েছে। শিশুটির মা ঝরনা বেমগ বাদী হয়ে ওই শিক্ষককে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে মহম্মদপুর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেছেন,মহম্মদপুর থানা মামলা ১১ তারিখ ২৪/০৪/২০২৪ইং, ধর্ষণের চেষ্টা করার আপরাধে ৯(৪)(খ) শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০২০ আইনে মামলা করা করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নহাটা রাণী পতিত পাবণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্ম বিষয়ের শিক্ষক ও কলাগাছি গ্রামের অধিবাসী মাওলানা নুরুল হুদা খান পিতা মৃত মাওলানা আব্দুর রউফ খান গত ২০ এপ্রিল দুপুরে তার বাড়িতে স্থানীয় দশ বছরের এক শিশুকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। গত ২২ এপ্রিল প্রতিবেশি দ্বীন ইসলাম ও মিশকাত এ বিষয়টি শিশুটির মাকে জানায়। এরপর শিশুটির মা তার কাছে জানতে চাইলে পুরো ঘটনা শিশিটি তার মার কাছে খুলে বলে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে শিশুটির মা ঝরনা বেগম বাদী হয়ে নুরুল হুদা খান নামের ওই শিক্ষককে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী আরো জানান এই নুরুল হুদা খান ইতিপূর্বে সরকারি ইট চুরিসহ এ ধরনের ঘটনা আরো ঘটিয়েছে,যার বিচার স্থানীয় ভাবে করা হয়েছে,যেখানে তার ডুররা(বেত্রাঘাত) মারা,গলায় জুতার মালা দেওয়া সহ বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। একজন ধর্মীয় শিক্ষকের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।তাদের গ্রামের(কলাগাছি) মোড়ে মোড়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে নুরুল হুদা খানের বাড়ীতে গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিত বুঝতে পেরে আত্মগোপন চলে যান তিনি, এলাকাবাসী ও সাংবাদিকেরা গেটে নক করে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোনো সড়া দেননি কেউ।এরপর নুরুল হুদা খানের ব্যবহৃত ০১৭১৩৯৬৫৭৬৯ এই মোবাইল নম্বরে অনেক সময় ধরে ফোন দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। ২৪ তারিখ রাতেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসএই অর্জুন কুমার দাশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।