
হাতীবান্ধা সংবাদদাতা:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় দইখাওয়া নামক চায়ের দোকানে নাস্তা করে ২২ জন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা উপজেলার দই খাওয়া বাজারে রেদওয়ান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন পেশাজীবি নাস্তা করেন।
পরবর্তীতে মধ্য রাতে পেট ব্যথা ও ডায়রিয়া শুরু হলে শনিবার হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একের পর এক রোগী ভর্তি হতে থাকে।
জানা গেছে, উপজেলার সিঙ্গীমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুবনী এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩০), দই খাওয়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে ওয়াজেদ আলী (১৮), দক্ষিণ গড্ডিমারী এলাকার মহুবর রহমানের ছেলে রায়েজ উদ্দিনসহ (৪৫) ১৫ জন গরু ব্যবসায়ীসহ আরও অনেকে রেদওয়ান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে ডাল ও সাদারুটি দিয়ে সেখানে নাস্তা করে।
এরপর মধ্য রাতে পেট ব্যথা ও ডায়রিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরিবারে সহযোগিতায় তাদেরকে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে আসাদুল ইসলাম দই খাওয়া হাটে গরু ক্রয় করতে যায়। পরে সন্ধ্যায় ওই হোটেলে নাস্তা করে রাতে বাড়িতে ফিরলে মধ্য রাতে অসুস্থ হয়। তার অবস্থা অবনতি হতে থাকলে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করাই।
ভুক্তভোগী রায়েজ উদ্দিন বলেন, দই খাওয়া হাট থেকে বাড়ি ফেরার সময় আমরা সাত থেকে আটজন ব্যবসায়ী আতিয়ারের দোকানে ডাল ও সাদারুটি দিয়ে নাস্তা করি। পরে বাড়িতে ফিরলে রাত ১২টার দিকে ডায়রিয়া ও বমি শুরু হয়।
রেদওয়ান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক আতিয়ার রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার হোটেলে কোনো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নাস্তা তৈরি করি নাই। অসুস্থতার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে অসুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের চিকিৎসা প্রদানকারী হাতীবান্ধা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জুয়েল রানা জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়া অর্থাৎ ফুডপয়জন হওয়ার কারণে এটি হয়েছে।