
জামালপুর সদরের মেষ্টা এলাকায় মোজাম্মেল হক হত্যা মামলায় ঘটনার ৩১ বছর পর আদালত একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে খালাস দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আবু বকর ছিদ্দিক এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন সরিষাবাড়ি উপজেলার ঢুরিয়াভিটা গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান। তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে মামলায় খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সরিষাবাড়ী উপজেলার গোবিন্দ নগর (বয়রা) গ্রামের মো. মতিয়ার রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে আজাদ, পাখাডুবি গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে গোলাম রব্বানী, একই গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে ওমর আলী এবং জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া দেওয়ানীপাড়া গ্রামের মৃত মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. শওকত আলী।
অতিরিক্ত পিপি এ কে এম নাজমুল হুদা জানান, প্রধান আসামি হাফিজুর রহমান ও নিহত মোজাম্মেল হক ছিলেন বাল্যবন্ধু। ১৯৯৩ সালের ২৩ মে বিকেলে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে হাফিজুর রহমান মোজাম্মেল হককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।
পরদিন ২৪ মে মেষ্টা ইউনিয়নের হাসিল পারিল গৌরিপুর গ্রামের একটি কাঁচা রাস্তার ওপর মোজাম্মেল হকের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের ব্যবস্থা করে।
ওই বছরের ২৮ মে নিহত মোজাম্মেল হকের বড় ভাই শাহজাহান ছবি দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন এবং জামালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির দীর্ঘ তদন্ত শেষে মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর আদালত এই রায় দেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ফজলুল হক।