
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অনুমোদনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এই অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ করে।
এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থাগুলোর নিয়োগে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে প্রতিরক্ষা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়োগে বিদ্যমান বিধিমালা বহাল থাকবে।
অধ্যাদেশের বিশেষ দিকগুলো: ১. সিভিল সার্ভিস ক্যাডার চাকরি: প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর; ২. সিভিল সার্ভিসের আওতাবহির্ভূত চাকরি: সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর; ৩. স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা: যেখানে আগে ৩০ বা অনূর্ধ্ব ৩২ বছর বয়সসীমা ছিল, সেখানে এটি ৩২ বছরে নির্ধারণ করা হয়েছে; ৪. উদ্ভূত সমস্যার সমাধান: কোনো অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দেখা দিলে সরকার তা গেজেট নোটিশের মাধ্যমে সমাধান করতে পারবে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর গঠিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ২৪ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন নিয়ম কার্যকর হবে এবং চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।