প্রতিনিধি, কাউনিয়া:
ঈদের পর আবারো বাড়তে শুরু করেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। মাছ, মাংস ও তেলের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আলু পেয়াজ ও রসুনের দাম। মাত্র দশদিনের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫-২০ টাকা।
অন্যদিকে পেয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১২-১৫ আর রসুনের দাম বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা। তবে হঠাৎ আলু-পেয়াজ-রসুনের দাম বেশীর সঠিক কোন কারণ বলতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। খরচ করতে এসে দাম শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। সরেজমিনে বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা, যেটা আগে ছিলো ৩০-৩৫ টাকা কেজি। দশদিনের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা, রসুন বাজারে প্রতি কেজি ১৬০-২০০ টাকা যা আগে ছিলো ১২০-১৩০ টাকা। অপরদিকে পেয়াজের বাজারে একই অবস্থা। এখন বাজারে পেয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা।
স্থানীয় সানাই মোড়ের কাঁচামাল বিক্রেতা আফসার আলী বলেন, এখন আমাদের আলু প্রতি মন ১৭৬০ টাকায় কিনতে হয়। এরমধ্যে নানা ধরনের খরচ রয়েছে। এ দামে বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হয়ে যায়। আলুর দাম কম হলে আমাদের বেচা-কেনা বেশি হয়, ফলে আমাদের লাভও হয়। আমরাও ক্রেতাদের কাছে কম দামে আলু বেচতে পারি।
খুচরা সবজি বিক্রেতা শরীফুল বলেন, এখন বাজারে পেয়াজ রসুনের আমদানি কম। অনেক আড়ৎদার পেয়াজ রসুন স্টক করে রাখা শুরু করেছেন। সে জন্যই বাজারে পেয়াজ রসুনের সংকট দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে আমরা পেয়াজ ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। এখন আমাদের প্রতি কেজি পেয়াজ ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজারে সবজি কিনতে আসা হুমায়ুন কবির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে বিক্রেতারা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এসে দেখি আলুসহ পেয়াজ রসুনের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। উপায় না পেয়ে কম পরিমাণে কিনতে হচ্ছে।
আরেক ক্রেতা চাকুরিজীবী নাজমুল হাসান বলেন, গত সপ্তাহে বাজারে যে আলুর দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা কেজি, এখন সেই আলু বাজারে ৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। নিত্যপন্যের দাম বাড়ে, আমাদের বেতন তো বাড়ে না। সিন্ডিকেট বাজারে একেক সময় একেক পন্যের দাম হুট-হাট করে বাড়িয়ে দেয়। আমার মত সাধারণ মানুষেরা নিত্যপণ্যের বাজারের লাগাম টানতে গিয়ে সর্বহারা হয়ে যাচ্ছে। ভোক্তা অধিকার বাজার কি মনিটরিং করে তা বুঝে আসে না। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে সঞ্চয় ভেঙ্গে ভেঙ্গে খেতে হচ্ছে। দিন দিন দরিদ্র মানুষদের নিদারুন কষ্টে পড়তে হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলছেন বিজ্ঞমহল।